নয়াদিল্লি: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তানে পাল্টা সেনা অভিযান চালিয়েছে ভারত। Operation Sindoor অভিযানের আওতায় পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আর সেই আবহেই ভারতের কাশ্মীরে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কারণ সেখান থেকে অজ্ঞাতপরিচয় যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ার ঘটনা সামনে এসেছে। তিনটি বিমান উপত্যকায় ভেঙে পড়েছে বলে খবর। (Kashmir News)
রাতে ভারতের সেনা অভিযানের পরও নিয়ন্ত্রণরেখায় লাগাতার গোলাগুলি বর্ষণ করে চলেছে পাকিস্তান। সেই আবহেই উপত্যকায় তিনটি অজ্ঞাত পরিচয় বিমান ভেঙে পড়ার খবর মিলছে। একটি বিমান স্কুলের উপর ভেঙে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। এলাকায় সেনা মোতায়েন হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রচণ্ড জোরে শব্দ শুনতে পান তাঁরা। আকাশে আগুনের গোলাও দেখেত পান বলে জানিয়েছেন। কিন্তু বিমান তিনটি কীভাবে ভেঙে পড়ল, কোথা থেকে এল, তা জানা যায়নি। ধ্বংসাবশেষ দেখে সেগুলিকে যুদ্ধবিমান বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। (Operation Sindoor Update
শুধু তাই নয়, বুধবার পঞ্জাবেও একটি অজ্ঞাত পরিচয় বিমান ভেঙে পড়েছে। পঞ্জাবের ভাতিন্ডা জেলার আকলিয়ান গ্রামে একটি অজ্ঞাত পরিচয় বিমান ভেঙে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন ন’জন। মৃত ব্যক্তিকে হরিয়ানার চখরি দাদরির বাসিন্দা গোবিন্দ বলে শনাক্ত করা গিয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বসতি এলাকা থেকে ৫০০ মিটার দূরে গমের ক্ষেতে বিমানটি ভেঙে পড়ে রাত ২টো নাগাদ। বিমানটিকে কম উচ্চতা দিয়ে উড়ছিল। আচমকাই ভেঙে পড়ে। ছুটে দেখতে গেলে বিস্ফোরণ ঘটে। তাতেই গোবিন্দ মারা যান এবং বাকিরা আহত হন বলে জানা যাচ্ছে।
এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত সেনার তরফে কিছু জানানো হয়নি। এর আগে পাকিস্তান জানিয়েছিল, তারা ভারতের বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে। কিন্তু সেই নিয়ে দিল্লির তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি এখনও পর্যন্ত।
তবে Operation Sindoor-এর পর উত্তর ভারতে বিমান চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। অমৃতসরমুখী দু'টি বিমানের মুখ ঘুরিয়ে নামানো হয় দিল্লিতে। পাকিস্তান সীমান্ত বরাবর যত স্কুল আছে পঞ্জাবে, সেগুলি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, জম্মু, শ্রীনগর, লেহ্, জোধপুর, অমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড় এবং রাজকোটে বিমান চালাবে না তারা। পঞ্জাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর সমস্ত স্কুল, কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। গুরুদাসপুর, পাঠানকোটের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি তিন দিন বন্ধ থাকবে আপাতত।