আলিপুরদুয়ার: শোকজের পর দু’দিন পেরোতে না পেরোতে নব্য বিজেপিদের নিয়ে ফের সরব বিজেপি জেলা সভাপতি। শুদ্ধকরণ করেই আসতে হবে, নাহলে ঠাঁই নেই বলে হুমকি আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার। তাঁর দাবি, দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়তেই এই বার্তা। এনিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।


কী বললেন গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা?


আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সভাপতি বলেন, নব্যদের পাপের দায়িত্ব বিজেপি নেবে না। শুদ্ধিকরণ করেই আসতে হবে,  নাহলে কিন্তু ঠাই নেই। দু’দিনও হয়নি শো-কজের চিঠি পাঠিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। এর মধ্যে গেরুয়া শিবিরে আসতে চাওয়া তৃণমূল নেতা কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপির জেলা সভাপতি।


শনিবার মেদিনীপুরে অমিত শাহর সভায় আলিপুরদুয়ারের তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ দশরথ তিরকে বিজেপিতে যোগ দেন। একই  সঙ্গে জেলা তৃণমূলের দুই সহ সভাপতি আশিস দত্ত ও অভিজিত্‍ মজুমদারও যোগ দেন বিজেপিতে। তাতেই ক্ষুব্ধ  জেলার বিজেপি নেতাকর্মীরা। উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর সংবাদমাধ্যমে দল বিরোধী বক্তব্যের জন্য রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে মঙ্গলবার শোকজ করা হয় গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকে। সূত্রের খবর, ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা রয়েছে তাঁকে। কিন্তু তার আগেই বুধবার আলিপুরদুয়ারের পলাশবাড়ির জনসভায় নব্য বিজেপিদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দেন জেলা সভাপতি।


গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, আমরা সবাইকে আপন করে নেব।  যারা তৃণমূলে থেকে পাপ করেছেন, তাদের সেই পাপের দায়িত্ব বিজেপি নেবে না। বিজেপির নেতা-কর্মীদের অত্যাচার করে বা মিথ্যা মামলা দিয়ে এখন যতই পালাবদল বা গুনগান করুন না কেন, যদি আপনি অন্যায়-অত্যাচার করে থাকেন, আমাদের কর্মীরা আপনাকে ছেড়ে কথা বলবেনা। এদিন অবশ্য নিজের বক্তব্যের সমর্থনে সাফাই খাড়া করেন বিজেপি নেতা। বলেন, কর্মীদের মনোবল, ভরসা যোগানোর কারনে যতটুকু প্রয়োজন সেই বার্তাই দিয়েছি। তাদের দলীয় জেলা অফিসে ডেকে সম্বর্ধনা দিয়ে, মিস্টিমুখ করিয়ে দলের কাজে লাগাবো।


 এ নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তৃণমূল মুখপাত্র সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, বিজেপি দলের  প্রহসন, অভ্যন্তরীন বিশৃঙখলা এমন যাগায় যার জন্য আগুন জ্বলছে, অবরোধ হচ্ছে নিজের দলের বিরুদ্ধেই। মানুষ চিন্তিত। কিছু কর্মী তৃণমূল ছেড়ে ওখানে গেছিল বড়ো মাছ ধড়বে বলে, কিন্তু ধড়েছে ব্যাঙাচি। আলিপুরদুয়ারে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বিধানসভাওয়াড়ি ফলে, ৫টি বিধানসভা আসনের ৫টিতেই এগিয়ে বিজেপি। এই প্রেক্ষিতে চড়ছে তৃণমূল বিজেপি চাপানউতোরের পারদ।