মোহন দাস, গোঘাট (হুগলি) : এবার হুগলির গোঘাটে কাঠ পাচারের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। গতকাল, সোমবার কাঠ ভর্তি ট্রাক আটক করে পুলিশ। তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের মদতেই কাঠ পাচার হচ্ছে, বিস্ফোরক অভিযোগ উপপ্রধানের স্বামীর। যা নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
অরণ্য সপ্তাহের মধ্যেই সবুজ ধ্বংস। রাতের অন্ধকারে নির্বিচারে কাটা হচ্ছে গাছ। উঠল কাঠ পাচারের চেষ্টার অভিযোগ। শাসক নেতার মদতেই কি সক্রিয় পাচারকারীরা? হুগলির গোঘাটে কাঠ ভর্তি ট্রাক আটকের পরই উঠছে এই প্রশ্ন। আর এই ঘটনা সামনে আসার পরই নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। রবিবার গোঘাটের শ্যামবাজারে কাঠ ভর্তি ট্রাক আটক করে পুলিশ। সূত্রের খবর, আটক করা কাঠের বাজার মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। পলাতক চালকের খোঁজ শুরু করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানা দিয়ে এই কাঠ ভিন রাজ্যে পাচারের ছক ছিল। অন্যদিকে এই ঘটনায় সরাসরি তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধানের দিকে আঙুল তুলেছেন উপপ্রধানের স্বামী। গোঘাটের শ্যামবাজারের তৃণমূল নেতা তথা উপপ্রধানের স্বামী নিতাইচন্দ্র নন্দী বলেন, বেআইনিভাবে গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান। তার নির্দেশেই কাঠ পাচার হচ্ছে।
ঘটনার পর থেকে ফেরার অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান। এ নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপি চাপানউতোর। গোঘাটের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক বলেন, তৃণমূল নেতৃত্বের মদতেই গাছ কাটা হচ্ছে। এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তেরে দাবিও করেছেন তিনি। তিনি বলেন, দোষীদের শাস্তি হোক। গোঘাট ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি তপন মণ্ডল দলের তরফে তদন্ত করে দেখা হবে। জেলা নেতৃত্বকে বিষয়টি জানাব। প্রশাসনকেও তদন্ত করতে বলেছি। কাঠ পাচার প্রসঙ্গে গোঘাট ২ নম্বর ব্লকের বিডিও জানিয়েছেন, বন দফতর ও পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।