সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে চান উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি ও ইটাহারের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্য। দল ছাড়ার দেড়মাসের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন অমল আচার্য। তাঁর দাবি, বিজেপির সাম্প্রতিক মনোভাবই তাঁর মোহভঙ্গের কারণ। তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে আবেদন জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন অমল আচার্য।


এদিন অমল আচার্য বলেন, "দলের জন্ম লগ্ন থেকেই দিদির আদর্শে তৃণমূল করেছি। জানি না কোন অজ্ঞাত কারণে টিকিট পেলাম না। ৫-৭ দিনের জন্য বিজেপি করেছি একটা ক্ষোভে। দুঃখে বেদনায় করেছি। মন থেকে করিনি। গোটা বাংলাকে কোভিড থেকে বাঁচানোর জন্য লড়াই করছেন। আরেকদিকে তাঁর মন্ত্রিসভার হেভিওয়েট মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে প্রতি হিংসা চালাচ্ছে।" 


সোনালী গুহ, সরলা মুর্মুর পর এবার তালিকায় যোগ হল অমল আচার্যের নামও। উত্তর দিনাজপুর জেলার বিধানসভা ভোটের ঠিক ১৫ দিন আগে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন ইটাহারের দু'দুবারের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অমল আচার্য। ৭ এপ্রিল ইটাহারের চৌরাস্তা মোড়ে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী ও বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের হাত থেকে বিজেপির পতাকা তুলে নিয়েছিলেন শুভেন্দু অনুগামী ইটাহারের দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী তৃণমূল নেতা অমল আচার্য।  বিজেপিতে যোগদান করেই তাঁর হুঙ্কার ছিল ইটাহারের মমতা বন্দোপাধ্যায় মনোনীত প্রার্থী মুশাররফ হোসেনকে কয়েক হাজার ভোটে হারানোর। ইটাহারের মানুষ ভোটে জয়ী করেছিলেন মমতার প্রার্থী মোশারফ হোসেনকে ৪৫ হাজার ভোটে।  ভোটের ফলাফলের পর থেকেই গেরুয়া রাজনীতির আড়ালে চলে যান তিনি।


পুরোনো দলে ফিরতে চেয়ে শনিবারই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন অমল আচার্য। যদিও ভোটের আগে সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অমল আচার্যের দলে ফেরার আবেদন নিয়ে এ  কিছুই জানা নেই বলে দাবি করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের।