নয়াদিল্লি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জী নিয়ে দেশজুড়ে হইচইয়ের মধ্যেই জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন বা ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টারে (এনপিআর) হাত দিতে চলেছে কেন্দ্র। আজ দিল্লিতে বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা, সেখানে এই প্রকল্পটি মন্ত্রিসভার সম্মতি পেয়েছে। এ জন্য ৮,৫০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। গোটা প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী এপ্রিল থেকে।

আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার যে বৈঠক হয়, সেখানে এই অর্থ বরাদ্দ সংক্রান্ত প্রস্তাব দেওয়া হয়। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পর এবার এনপিআর পুনর্বনবীকরণ হবে, একই সঙ্গে হবে জনগণনা।

এনপিআর হল দেশের স্বাভাবিক নাগরিকদের সরকারি তালিকা। স্বাভাবিক নাগরিকের অর্থ হল, এমন কেউ যিনি দেশের কোনও এলাকায় অন্তত শেষ ৬ মাস ধরে রয়েছেন, অথবা এমন কেউ যিনি কোনও এলাকায় আগামী ৬ মাস বা তার বেশি থাকতে চান। মনমোহন সিংহ যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন ২০১০-এ এনপিআরের তথ্য জোগাড় করা হয়, তার ভিত্তিতে ২০১১-য় প্রকাশিত হয় সেন্সাস। এনপিআর অনুয়ায়ী আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঘরে ঘরে ঘুরে জনসংখ্যা সংক্রান্ত তথ্য জোগাড় করা হবে। এই তথ্যের ওপর তৈরি হবে ডেটাবেস। জনঘনত্ব সংক্রান্ত তথ্য যেমন থাকবে, তেমনই থাকবে নাগরিকদের বায়োমেট্রিক তথ্য। এই তথ্য দেওয়ার জন্য মানুষকে কোনও ফর্ম ভর্তি করতে হবে না, যাবতীয় তথ্য সংগৃহীত হবে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে। জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।


গত অগাস্টে এ নিয়ে বার হয় গেজেট বিবৃতি। তাতে বলা হয়, ২০০৩-এর নাগরিকত্ব (নাগরিকদের নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান) আইন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার জনসংখ্যা নিবন্ধনের কাজে নামতে চলেছে। অসম ছাড়া দেশের সর্বত্র বাড়ি বাড়ি ঘুরে নাগরিকদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করা হবে। কাজ শুরু হবে ২০২০-র ১ এপ্রিল, চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত।

স্থানীয় গ্রাম, মফঃস্বল, উপজেলা, জেলা, রাজ্য ও জাতীয় পর্যায়ে তৈরি হবে এই এনপিআর। দেশের প্রত্যের স্বাভাবিক নাগরিকের কর্তব্য এতে নাম নথিবদ্ধ করা।