নয়াদিল্লি: হিসেব বলছে, বয়স ৬০ পেরিয়ে গিয়েছে। এখনই কি রাজনীতি থেকে অবসরের কথা ভাবছেন? জল্পনা উস্কে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অবসরগ্রহণের পর কী করবেন, তাও জানিয়ে দিলেন। রাজনীতির চৌহদ্দির বাইরে, ঠিক কেমন জীবন কাটাতে চান, খোলসা করলেন তিনি। আর তাতেই জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে শুধুমাত্র অবসরজীবনের পরিকল্পনার কথাই জানিয়েছেন শাহ, অবসর নিতে চলেছেন বলে জানাননি। (Amit Shah)
রাজস্থান, গুজরাত এবং মধ্যপ্রদেশের মহিলা ও সমাজকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় নিজের ভবিষ্যৎ জীবনের পরিকল্পনা জানালেন শাহ। তাঁর বক্তব্য, "আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। অবসরের পর বেদ, উপনিষদ এবং প্রাকৃতিক চাষের প্রতিই নিজের জীবন উৎসর্গ করব।" বেদ-উপনিষদ নিয়ে কী করবেন, তা জানাননি শাহ। তবে কৃষিকাজ নিয়ে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। (Amit Shah)
শাহ জানিয়েছেন, রাসায়নিক ব্যবহার করে ফলানো গম থেকে শরীরে গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়। ক্যান্সার, রক্তচাপ, ডায়বিটিস, থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগতে হয় অনেককে। তাই প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষে আগ্রহী তিনি। শাহের কথায়, "রাসায়নিক সার ব্যবহার করে ফলানো গম থেকে ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বিটিস, থাইরয়েডের সমস্যা হয়। আগে এসব জানতাম না আমরা। রাসায়নিক সার মুক্ত খাবার খাওয়ার অর্থ জীবনে ওষুধের প্রয়োজন পড়বে না।"
শুধু রোগমুক্তিই নয়, প্রাকৃতিক চাষে শস্যের গুণমানও ভাল হয় বলে জানান শাহ। তাঁর কথায়, "নিজের খামারে আমি প্রাকৃতিক চাষ করছি। তাতে ফলনও হচ্ছে প্রায় দেড় গুণ। ভারী বৃষ্টি হলে জল বেরিয়ে যায় অনেক সময়। কিন্তু প্রাকৃতিক চাষে বৃষ্টির একটি ফোঁটাও নষ্ট হয় না। সরাসরি মাটিতে প্রবেশ করে বৃষ্টির জল। রন্ধ্র দিয়ে জল শুষে নেয় মাটি, বেশি মাত্রায় সার রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে যা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।"
মাটিতে যে কেঁচো বাস করে, তারাই প্রাকৃতিক সার উৎপাদন করে। কিন্তু সিন্থেটিক সার ব্যবহারের ফলে কেঁচো মরে যাচ্ছে বলে উদ্বেগও প্রকাশ করেন শাহ। জানান, প্রকৃতি নিজেই নিজের ইউরিয়া, ডায়ামোনিয়াম ফসফেট, মনোপটাসিয়াম ফসফেট তৈরি করেছে। কিন্তু রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে তা নষ্ট হচ্ছে।
নিজের রাজনৈতিক জীবনও ফিরে দেখেন শাহ। জানান, দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ারে একাধিক সামলেছেন যদিও, তবে কোঅপারেশন মন্ত্রক তাঁর মনে বিশেষ জায়গা দখল করে রয়েছে। তিনি বলেন, "যখন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলাম, সকলেই বলেছিলেন, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছি। কিন্তু যেদিন কোঅপারেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছিলাম, সেদিন সেই দায়িত্বই বড় মনে হয়েছিল। দেশের কৃষক, দরিদ্র, গ্রাম, পশুপাখির জন্য কাজের সুযোগ পেয়েছিলাম।"