কলকাতা: গড়ফায় বাড়ির সামনে করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ ফেলে পালাল অ্যাম্বুলেন্স। কাঠগড়ায় যাদবপুরের কেপিসি হাসপাতাল। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে রোগীর মৃত্যু হয়। কিন্তু রোগীকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। এর পরেই মৃতদেহ বাড়ির সামনে ফেলে পালিয়ে যায় অ্যাম্বুলেন্স।


জানা গিয়েছে, পিয়ারলেস হাসপাতালে মৃত ওই  বৃদ্ধের করোনা রিপোর্ট পিজিটিভ এসেছিল। এর পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা যায়নি। আজ শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু হলে অ্যাম্বুলেন্সে দেহ বাড়িতে ফেলে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে গড়ফা মিডল রোডে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি এই বিষয়ে তাঁদের কোন গাফিলতি নেই। তাঁদের তরফ থেকে এই রোগীকে দেখাও পর্যন্ত হয়নি বলে জানিয়েছে কেপিসি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  


ঘরে পড়ে থেকে, অসহায়ভাবে মৃত্যু হচ্ছে করোনা আক্রান্তদের। কিন্তু, ভয়ে মৃতদেহ সরাতে এগিয়ে আসছেন না কেউ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকছে সেই দেহ। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় এমন একাধিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। এবার খাস কলকাতায় মর্মান্তিক ছবি উঠে এল সামনে। 


মৃত বৃদ্ধর স্ত্রী বলেন, জ্বর থাকায় শনিবার পিয়ারলেস হাসপাতালে পরীক্ষা করানো হয়। এরপর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আজ কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওখানে অক্সিমিটর দিয়ে দেখা হয়। পালস পায়নি। বারান্দায় নিয়ে দেখার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের তরফে অ্যাম্বুলেন্সে করে এখানে ফেলে দিয়ে যায় দেহ।


ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তারক চক্রবর্তী বলেন, পাড়ার ছেলেরা জানায় একটা মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। ওদের কথা শুনে আসি। খবর দেওয়া হয় সার্ভে পার্ক থানায়। বৃদ্ধের স্ত্রী জানিয়েছেন পিয়ারলেস হাসপাতালে পরীক্ষা হয়। আজ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এরপর কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, অমানবিক হাসপাতাল। তাঁর অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যখন দেখেছে রোগীর মৃত্যু হয়েছে তখন ওদের একটা অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহ বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায়।