নয়াদিল্লি: মেয়েকাল থেকে শতায়ু হওয়ার যাত্রা। মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ। কিন্তু মাত্র ৩০ সেকেন্ড হলেও, তাকিয়ে থাকতে হয় অপলক দৃষ্টিতে।  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) এবং প্রযুক্তি ধারের সামনে আপনা থেকেই নত হয়ে যায় মাথা (Viral Video)।


উৎকর্ষ উদাহরণ তুলে ধরলেন ভারতীয় শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রা


খানিকটা এলাম, দেখলাম, জয় করলামের মতোই বিষয়। উন্নত প্রযুক্তির দৌলতে প্রাপ্ত আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জৌলুস এমনই। কারিকুরি দেখে রা কাড়তে পারছেন না কেউ। শিল্পকর্ম যে কাউকে বাকরুদ্ধ করে দেওয়ার জন্য় যথেষ্ট।


এ বার সেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারই উৎকর্ষ উদাহরণ তুলে ধরলেন ভারতীয় শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রা। মহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্য়ান আনন্দ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন। তাতে বালিকা বয়স থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত এক মেয়ের পর পর ছবি সাজিয়ে তৈরি চলমান চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।



ওই পোস্ট দেখতে মাত্র ৩০ সেকেন্ড সময় খরচ হয়। তাতেই একরত্তি মেয়ের পাঁচ থেকে ৯৫ বছরের জীবনকাল ফ্রেমবন্দি হয়ে ধরা পড়ে চোখের সামনে। তবে একলাফে নয় থেকে ৯৫ নয়, মধ্যবর্তী ১৫, ২৫, ৩৫, ৪৫, ৫৫, ৬৫, ৭৫, ৮৫...প্রত্যেক দশকে তার চেহারার পরিবর্তন স্পষ্ট ফুটে ওঠে।


আরও পড়ুন: Barbie: সৌন্দর্যের কি মাপকাঠি হয়? পুতুলখেলায় নয়া দিগন্ত, এল ডাউন সিনড্রোমের বার্বি


কারও মারফত ওই শিল্পকর্ম তাঁর হাতে এসেছে বলে জানান আনন্দ। তাতে তিনি নিজেও অভিভূত বলে জানান। আনন্দ লেখেন, ‘আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স ব্যবহার করে তৈরি এক মেয়ের পাঁচ থেকে ৯৫ বছর পর্যন্ত বয়সবৃদ্ধির মুহূর্ত ধরা পড়েছে। সৃষ্টি যদি হয় এত মানবিক, এত ভয়ঙ্কর রকমের সুন্দর, তাহলে আর আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স নিয়ে আতঙ্কিত হব না আমি’।


পাঁচ থেকে ৯৫ বছর পর্যন্ত বয়সবৃদ্ধির মুহূর্ত হল ফ্রেমবন্দি


আনন্দের ওই পোস্ট ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেট দুনিয়ায়। প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ মানুষ সেটি দেখেছেন এখনও পর্যন্ত। Like করেছেন ১৪ হাজার মানুষ। রিট্য়ুইট হয়েছে প্রায় ২ হাজার বার।