কলকাতা: আনন্দপুর শ্লীলতাহানিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে অভিযুক্তের ভুল নাম বলেছিলেন তাঁর বান্ধবী। তিনি সঠিক নাম বলা মাত্র অভিযুক্তের মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায়। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বান্ধবীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন অভিযুক্ত। ধোঁয়াশা কাটাতে বান্ধবীকেও জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে ওই ঘটনার পর বাইপাস সংলগ্ন এলাকার একটি গেস্ট হাউসে আশ্রয় নেন অভিযুক্ত অভিষেক পাণ্ডে। তবে পুলিশ আসার আগেই সেখান থেকে পালান।
পুলিশের দাবি, দ্রুত স্থান পরিবর্তন করছিলেন অভিযুক্ত। উত্তর কলকাতার একটি হোটেলেও তিনি ওঠেন। সঙ্গে ছিল ১২-১৫ হাজার টাকা। টাকা ফুরিয়ে আসায় সমস্যা বাড়ে।
মঙ্গলবার অভিযুক্তের মাকে আনন্দপুর থানা ও লালবাজারে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপরই অভিযুক্তের হদিশ মেলে। এর মধ্যে ইন্টারনেট কলে মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল অভিযুক্তের। জিপিআরএস ট্র্যাক করে টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করে পুলিশ।
এরপর লালবাজার ও আনন্দপুর থানার যৌথ অভিযানে গতকাল সন্ধ্যায় দমদম গোরাবাজার থেকে গ্রেফতার হন অভিষেক পাণ্ডে। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে বিধাননগর কমিশনারেটে বধূ নির্যাতনের পুরনো মামলা রয়েছে।
শনিবার রাতে অভিষেকের বিরুদ্ধে চলন্ত গাড়িতে শ্লীলতাহানি, এক মহিলাকে খুনের চেষ্টা ও তাঁর পায়ের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে পালানোর মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠে।
সূত্রের খবর, শনিবার রাতে আনন্দপুরের ভয়াবহ ঘটনার পর ফ্ল্যাটে না ফিরে দীর্ঘক্ষণ কলকাতার রাস্তাতেই ঘোরাফেরা করেন অভিযুক্ত অভিষেক পাণ্ডে। এমনকী, তাঁর বিরুদ্ধে যে তরুণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে, তাঁর ফ্ল্যাটের সামনেও যান অভিযুক্ত অভিষেক। এমনটাই দাবি করেছেন তরুণীর ফ্ল্যাটের কেয়ারটেকার।
পুলিশ সূত্রে দাবি, শনিবার রাতের ঘটনার পর কালিকাপুরে নিজের ফ্ল্যাটে ফেরেননি অভিযুক্ত। পরদিন অর্থাৎ রবিবার সকালে তিনি এই এলাকায় আসেন। তবে ফ্ল্যাটে নয়, কাছেই একটি গ্যারেজে। রবিবার সকালে এসে এখানে গাড়ি রেখে চম্পট দেয়। গ্যারেটের গেটের ডুপ্লিকেট চাবি তার কাছে ছিল।