অনন্তনাগ: প্রাণ হারালেন আরও এক জওয়ান। জম্মু-কাশ্মীরে অনন্তনাগ জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যে গুলির লড়াই চলেছে, তাতে নিহত হলেন আরও এক ভারতীয় জওয়ান। শুক্রবার মারা যান জখম ওই জওয়ান। বুধবার থেকে এই নিয়ে চারজন জওয়ান মারা গেলেন। এখন ওই এলাকা কর্ডন করা হয়েছে। সার্চ অপারেশন চলছে। (Anantnag Encounter)
অনন্তনাগ জেলার কোকেরনাগে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের কয়েকজন লুকিয়ে রয়েছে খবর পায় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। বুধবার সেই খবর পাওয়ার পরেই পদক্ষেপ করে নিরাপত্তা বাহিনী। শুরু হয় গুলির লড়াই। রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কর্নেল ব়্যাঙ্কের অফিসার, এক মেজর এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি ব়্যাঙ্কের এক আধিকারিক শহিদ হয়েছেন। তারপরেও চলেছে এনকাউন্টার। শহিদরা হলেন, কর্নেল মনপ্রীত সিংহ, মেজর আশিস, ডিএসপি হুমায়ুন ভাট। আর একজন শহিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। (Kashmir Encounter)
শুক্রবার সকালে কর্নেল মনপ্রীত সিংহ এবং মেজর আশিস ধনচকের মরদেহ নিয়ে আসা হয় পানিপতে তাদের বাড়িতে। ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্ট হুমায়ুন ভাটের মরদেহ শায়িত করা হয়েছে বদগামে তাঁর বাড়িতে। সেনার তরফে শহিদদের মরদেহ এয়ারলিফট করে শ্রীনগরে পৌঁছনো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে শহিদদের সম্মান জানানো হয়।
সেনার তরফে জানানো হয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পদক্ষেপ নেয় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজ শুরু করতেই গুলির লড়াই শুরু হয়। প্রথমে গুলি ছোঁড়ে সন্ত্রাসবাদীরাই। তখনই গুলির আঘাতে শহিদ হন কর্নেল।
সেনার তরফে মনে করা হচ্ছে, ওই সন্ত্রাসবাদীরা 'The Resistance Front'- সংগঠনের। নিরাপত্তাবাহিনীর সন্দেহ ওই এলাকায় এখনও ২-৩ জন সন্ত্রাসবাদী লুকিয়ে থাকতে পারে। হেরন ড্রোন এবং কোয়াড কপ্টার কাজে লাগানো হয়েছে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সদস্যদের খুঁজে বের করার জন্য়। বুধবারের হামলার দায় স্বীকার করেছে 'লস্কর-ই-তইবা'-র শাখা গোষ্ঠী দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট।সেপ্টেম্বরের গোড়ায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে 'দ্য রেজিস্ট্যান্স, ফ্রন্ট'-এর নেতা রিয়াজ আহমেদকে হত্যার বদলা হিসেবেই এই হামলা, দাবি তাদের। গোয়েন্দা সূত্রে অবশ্য খবর, গত এপ্রিলে, পুঞ্চ-এ ৫ সেনা জওয়ানের উপর হামলার নেপথ্যে জঙ্গিদের যে মডিউল কাজ করেছিল, বুধবারের হামলাও তাদেরই কাজ।বুধবারের এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবারই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানায়, তারা লস্করের ২ জন সন্ত্রাসবাদীকে ঘিরে ফেলেছে। এক জন জঙ্গির নাম উজেইর খান, জানাচ্ছে পুলিশ। সেই জঙ্গি দমন অভিযান ঘিরেই আপাতত উপত্যকা জুড়ে টানটান উত্তেজনা। তার মধ্যেই ভেসে আসছে বিলাপের শব্দ, সব হারানোর কান্না।
আরও পড়ুন: চন্দ্রযান লাইভ স্ট্রিমিংয়ে রেকর্ড, ISRO-কে অভিনন্দন Youtube-এর