কলকাতা: দীর্ঘদিন ধরে অর্থনৈতিকভাবে তুমুল ডামাডোল পরিস্থিতির মধ্যে কেটেছে শ্রীলঙ্কার। সেই পরিস্থিতিতেই নির্বাচন হয় দ্বীপরাষ্ট্রে। আর তাতেই চমকে দেওয়ার মতো ফল। এতদিন ধরে যে রাজনৈতিক সংগঠন দ্বীপরাষ্ট্রের রাজনীতিতে প্রায় প্রান্তিক অবস্থায় ছিল। সেই দলেরই প্রার্থী জিতলেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে। বিপুল ভোটে মসনদে বসলেন বামপন্থী রাজনীতিবিদ অনুরা কুমার দিশানায়েক। জেভিপির নেতা তিনি- পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের বছর পঞ্চান্নর নেতা। সেদেশের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী ভোট প্রাপ্তির নিরিখে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে অনেকটা পিছনে ফেলেছেন তিনি। শনিবারের নির্বাচনে তাঁর ভোটপ্রাপ্তি ৪২ শতাংশেরও বেশি। অন্যদিকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাজিথ প্রেমদাসা পেয়েছেন ৩২.৭৬ শতাংশ ভোট।


এর আগে তুমুল অর্থনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসেছিলেন রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। তাঁর আমলে IMF বেলআউট মেলে শ্রীলঙ্কার। কিন্তু শর্ত অনুযায়ী, একাধিক কড়া শর্ত আরোপ করতে হয় তাঁকে। তিনিও এবার ভোটে লড়েছিলেন। কিন্তু অনেকটা পিছনে থেকে ১৭.২৭ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি।


এপি, রয়টার্সের মতো সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, প্রথম ২ জন প্রার্থীদের কেউ ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি, সেই কারণেই আরও একবার গণনা হয়। তারপরেই দিশানায়েককে জয়ী ঘোষণা করা হয়। নতুন রাষ্ট্রপতি শপথগ্রহণের আগে সোমবার শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী দীনেশ গুণবর্ধনা পদত্যাগ করেছেন।


শ্রীলঙ্কা নির্বাচন যে পদ্ধতিতে হয়ে থাকে, সেই নিয়ম অনুযায়ী। ভোটাররা তিনটি প্রেফারেন্সিয়াল ভোট দেন। প্রথম গণনায় কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে। তারপরে প্রথম ২ স্থানে থাকা ২ প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের ফের গণনা করা হয়। শনিবারের নির্বাচনে ৭৫শতাংশ ভোট পড়েছে শ্রীলঙ্কায়।


জয়ের পরে দেশের সব মানুষকে ধন্য়বাদ জানিয়ে X হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন দিশানায়েক। সদ্যজয়ী রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে।


শ্রীলঙ্কার নতুন রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করে নয়াদিল্লি ও কলম্বোর মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তা দিয়েছেন তিনি। সেই পোস্টের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছে অনুরা কুমার দিশানায়েক। গোটা এলাকার উন্নতির জন্য একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন তিনিও।






দিশানায়েক জানিয়েছেন, IMF-এর যে ঋণ তারা পেয়েছেন সেগুলির শর্ত নিয়ে আবার আলোচনা করবেন তারা। খরচ নিয়ন্ত্রণ ও উচ্চ কর আরোপের মতো শর্ত ছিল সেই ঋণে। সেগুলি নিয়ে ফের আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।   


আরও পড়ুন: R G Kar News: সংবাদমাধ্যমকে দেখে দৌড়, ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর সিজিও থেকে বেরোলেন অভীক দে