কলকাতা: গত ২-৩ বছরে ১৩০-এর বেশি বিজেপি কর্মী পশ্চিমবঙ্গে খুন হয়েছেন। যদি এভাবেই চলতে থাকে, তবে সংবিধানে ব্যবস্থা রয়েছে, সেইমত পদক্ষেপ করা হবে। ৩৫৬ ধারা জারির কথা উচ্চারণ না করেও এভাবেই স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিলেন বাবুল সুপ্রিয়। যদিও এতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল। সৌগত রায়ের দাবি, বাবুল সংবিধান পড়েননি।
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে এক সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দাবি করেছেন, বিজেপি ২০০-র বেশি আসন পেয়ে রাজ্যে সরকার গড়বে। তাঁর অভিযোগ, আশির বেশি কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্য সরকার চালু হতে দিচ্ছে না। ৩৪ বছরের বাম শাসনে রাজ্য ছিবড়ে হয়ে গিয়েছে, ব্রেন ড্রেন হয়ে গিয়েছে, বাঙালি যুবসমাজ এখন রাজ্যের বাইরে। গোটা বিশ্বে তারা চূড়ান্ত সফল কিন্তু রাজ্যে কাজ না থাকায় ফিরে পারছে না। বামেরা কলকারখানায় তালা মেরে ইউনিয়নবাজ করে রাজ্যের সর্বনাশ করেছে। আর এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নিয়ে এসেছে সিন্ডিকেট, কাটমানি, ভাই আর ভাইপো। মানুষের পয়সা চুরি করছে সরকার, গরিবরা শেষ হয়ে গিয়েছেন। এখন মানুষের কাজ করতে সক্ষম এমন সরকার তাঁদের চাই। সেই ভরসা তাঁদের দেব না কেন? প্রশ্ন বাবুলের।
বাবুলের বক্তব্য, বৌদ্ধিক, সাংস্কৃতিকভাবেই হোক বা স্বাধীনতা আন্দোলনে, বারবার দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলা। এই রাজ্যের মানুষের প্রাপ্য অনেক বেশি। অথচ বর্তমান সরকার বারবার সংবিধান লঙ্ঘন করছে। কেন্দ্রের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করছে না, ন্যাশনাল ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোকে অপরাধের ডেটাও দিচ্ছে না। আইন শৃঙ্খলা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বল আর কিছু নেই। তৃণমূল ভয় পাচ্ছে তাই রাজ্যজুড়ে হিংসা চলছে। মমতাই এর পিছনে আছেন তাই অশান্তি বন্ধ হচ্ছে না। গত ২-৩ বছরে ১৩০-এর বেশি বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। তাঁর দাবি, বিজেপি হিংসা করে না। তাঁরাও চান, গণতান্ত্রিকভাবে ভোটের মাধ্যমে এই সরকার চলে যাক। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, মানুষ সব দেখছেন, তাঁরাই যা করার করবেন। কিন্তু মমতা যদি ভাবেন, ভয় দেখিয়ে মানুষকে বুথে যেতে দেবেন না, বিরোধীদের ওপর প্রাণঘাতী হামলা করবেন, তবে সংবিধানে সেইমতো ব্যবস্থা আছে, যা করার করা হবে। তাঁর হুঁশিয়ারি, এই ৬ মাসে শুধরে যান মমতা। যদি ভাবেন, এভাবেই চলবে, কিছু করবেন না, তবে ভোটের আগেই কিছু ঘটে যেতে পারে।
বাবুলের নাম না করে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, দুআনা-চার আনার নেতারা এমন ভয় দেখাচ্ছেন। বাবুল সুপ্রিয় সংবিধান পড়েননি, রাষ্ট্রপতি শাসন কীভাবে করা যায় সেই রায় সুপ্রিম কোর্ট দিয়ে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের থেকে অনেক খারাপ উত্তর প্রদেশের অবস্থা, তাঁর দাবি।