নয়াদিল্লি: সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল। গত মাসের শুরুতেই সংসদে বিল পাশ করিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের সাংবিধানিক ক্ষমতা রদ করে দেয় কেন্দ্র। এনডিএ সরকারের পাশ হওয়া বিলে ভূ-স্বর্গ থেকে উঠে যায় বিশেষ রাজ্যের তকমা। শুধু তাই নয়, রাজ্যের তকমাই হারায় শৈলরাজ্য। তার পরিবর্তে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ, এই দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভাগ হয়ে যায় পাহাড়ি উপত্যকা। দীর্ঘ সময় সেখানে বন্ধ থাকে যোগাযোগ পরিষেবা। ‘গৃহবন্দি’ করে রাখা হয় একাধিক বিরোধী দলনেতাদের। যদিও বিজেপি দাবি করে, পাহাড়ের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। স্কুল, কলেজ, দোকানপাঠ সবই খুলছে। কিন্তু বিরোধীরা তা মানতে নারাজ। মাস খানেকের এই বাকযুদ্ধের পর এবার ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ নিয়ে শুনানি শুরু হচ্ছে ভারতের শীর্ষ আদালতে।
৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল কি সাংবিধানিক ক্ষমতার আওতায় পড়ে? উল্লেখিত বিষয়ে সংসদে বিল পাশ হওয়া এবং সেখানে রাষ্ট্রপতির সম্মতি, তা কি আদৌ বৈধ? এমনই একাধিক প্রশ্নের সওয়াল-জবাবের অপেক্ষায় বিচারপতি রমনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ।
যদিও এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃ্ত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু নিজের এজলাস থেকে মামলা অন্য বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন তিনি। আদালতের বক্তব্য, অযোধ্যা জমি বিবাদের মামলার শুনানির কারণে এই মামলা শোনার সময় তাঁদের নেই। অগাস্টে বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানিয়েছিলেন, অক্টোবরে এই মামলার শুনানি হবে আরও বড় বেঞ্চে। সেই মতো বিচারপতি রমন সহ বিচারপতি সঞ্জয় কুশল কউল, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি, বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি সূর্যকান্তের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা শুনবে।