নয়াদিল্লি: এখনই জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আবগারি দুর্নীতি মামলায় ১২ জুলাই পর্যন্ত জেলে থাকতে হবে তাঁকে। শনিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে দুই সপ্তাহের জন্য কেজরিওয়ালকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI, তাতে ১২ জুলাই পর্যন্ত কেজরিওয়ালকে হেফাজতে পাঠায় আদালত। তদন্তের স্বার্থে কেজরিওয়ালকে হেফাজতে প্রয়োজন বলে জানায় CBI. (Arvind Kejriwal)


এর আগে কেজরিওয়ালকে তিন দিনের জন্য হেফাজতে পাঠানো হয়। সেই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হতে শনিবার ফের তাঁকে আদালতে তোলা হয়। সেখানে CBI জানায়, দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় তদন্ত এবং ন্যায় বিচারের স্বার্থেই কেজরিওয়ালকে হেফাজতে রাখা জরুরি। এর আগে, তিহাড় জেলে জিজ্ঞাসাবাদের পর, বুধবার কেজরিওয়ালকে তিনদিনের হেফাজতে পাঠায় আদালত। (Delhi Liquor Policy Case০


এদিন আদালতে CBI জানায়, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না কেজরিওয়াল। অধিকাংশ প্রশ্নই এড়িয়ে যাচ্ছেন। চোখের সামনে প্রমাণ তুলেধরলেও কেজরিওয়াল ঠিক করে উত্তর দিচ্ছেন না বলে দাবি গোয়েন্দাদের। তাঁরা জানিয়েছেন, আবগারি নীতি চালু হওয়ার পর পাইকারি ব্যবসায়ীদের মুনাফা ৫ থেকে বেড়ে ১২ শতাংশ কী করে হল, জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সদুত্তর দিতে পারেননি কেজরিওয়াল। কোভিড যখন চরমে, সেই সময় তড়িঘড়ি আবগারি নীতি কার্যকর করা কেন, সেই নিয়েও কেজরিওয়াল কোনও খোলসা করেননি। CBI আদালতে আরও জানায়, কেজরিওয়াল রাজনীতিক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী উনি। সাক্ষ্যপ্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।


আরও পড়ুন: IAS Anjali Birla: প্রথম চেষ্টাতেই IAS লোকসভার স্পিকারের মেয়ে, পরীক্ষাতেই বসেননি বলে অভিযোগ, নতুন করে শোরগোল


দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ২১ মার্চ প্রথমে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হন কেজরিওয়াল। আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে ED.  সম্প্রতি  ট্রায়াল কোর্টে সেই মামলায় জামিন পান তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টে ED-র ওই মামলায় কেজরিওয়ালের জামিন স্থগিত করে দেয়। 


এর পর, বুধবার কেজরিওয়ালকে দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে CBI. রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে পেশ করে হেফাজতে নেওয়া হয় তাঁকে। ED আর্থিক তছরুপের দিকটি তদন্ত করে দেখছে। CBI-কে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। সরকারি কর্মীরা ঘুষ নিয়েছিলেন বলে দেখাতে হবে আদালতে। 


CBI দুর্নীতি দমন আইন ২০২২ সালের আওতায় মামলা দায়ের করেছে। তবে মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে নাম নেই কেজরিওয়ালের। তাই কেজরিওয়ালের কারাবাস দীর্ঘায়িত করতেই ইচ্ছাকৃত ভাবে একটির পর একটি তাঁকে গ্রেফতার করছে বলে অভিযোগ আম আদমি পার্টি এবং কেজরিওয়ালের পরিবারের সদস্যদের।