নয়াদিল্লি: ঘোষণা মতোই তিহাড় জেলে ফিরে গেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছিলেন তিনি। সেই জামিনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহের জন্য বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে কেজরিওয়ালের সেই আবেদন গৃহীত হয়নি। ফলে, লোকসভা নির্বাচনে সপ্তম দফায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর, রবিবারই তিহাড়ে গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন কেজরিওয়াল। (Arvind Kejriwal)
তিহাড়ে আত্মসমর্পণ করবেন বলে শনিবারই জানিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। সেই মতো এদিন দুপুর ৩টে নাগাদ মা-বাবাকে প্রণাম করে বাসভবন থেকে বেরোন তিনি সেখান থেকে প্রথমে রাজঘাটে মহাত্মা গাঁধীর উদ্দেশ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। রাজঘাট থেকে প্রথমে নিকটবর্তী হনুমান মন্দিরে যান, সেখান থেকে আম আদমি পার্টির সদর দফতরেও যান। এর পর তিহাড়ে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন কেজরিওয়াল। (Delhi Liquor Policy Case)
এদিন দলের সদর দফতরে গিয়ে কেজরিওয়াল সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ জানান। অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়ে অনেক কাজ হয়েছে বলে জানান তিনি। কেজরিওয়াল বলেন, "২১ দিনের মধ্যে একটি মিনিটও নষ্ট করিনি আমি। সব দলের হয়ে প্রচার করেছি। দেশকে রক্ষা করতে প্রচার চালিয়ে গিয়েছি আমি। দেশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ, আম আদমি পার্টি দ্বিতীয়। অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার।"
অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে থাকাকালীন সবচেয়ে ভাল অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে কেজরিওয়াল বলেন, "প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই। এটা স্বৈরতন্ত্র চলছে। যাকে ইচ্ছে জেলে ঢোকাব, দেশকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, আমি চাইলে কেজরিওয়ালকেও জেলে ঢোকাতে পারি, যে কাউকে জেলে ঢোকাতে পারি।"
এদিন স্ত্রী সুনীতাকে সঙ্গে নিয়েই দলের কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কেজরিওয়াল। দিল্লির মন্ত্রী অতিশী, কেলাস গহলৌত, সৌরভ ভরদ্বাজও ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন দলের সাংসদ সঞ্জয় সিংহ, সন্দীপ পাঠকরাও। তিহাড়ে কেজরিওয়ালের জেলযাপন নিয়ে কম বিতর্ক নেই। ডায়বিটিসের রোগী কেজরিওয়ালের ওষুধ এবং ইঞ্জেকশন বন্ধ রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এর পাল্টা এনফোর্সমেন্ট অভিযোগ করে, জেলে যা ইচ্ছে তা খাচ্ছেন কেজরিওয়াল। আলু, মিষ্টিও বাদ দিচ্ছেন না। পাশাপাশি জেলে কেজরিওয়ালের বেশ কয়েক কেজি ওজন কমে গিয়েছে বলেও দাবি AAP-এর। স্বাস্থ্যজনিত কারণ দেখিয়েই জামিনের মেয়াদবৃদ্ধির আবেদন জানান কেজরিওয়াল, চিকিৎসকরা কিছু পরীক্ষা করাতে বলেছেন বলে জানান, যাতে সায় দেয়নি শীর্ষ আদালত।