লখনউ: যে রোগই ছড়াক, মানুষকে সেজন্য ত্রাসে, আতঙ্কে গুটিয়ে না থাকার পরামর্শ দিলেন যোগী আদিত্যনাথ। জাপানি এনসেফালাইটিস ও অ্যাকিউট এনসেফালাইটিস সিনড্রোমের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে শিশুদের এক মাসের টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ফ্লু রোগ নয়। মানুষের ঠান্ডা, সর্দিকাশি হয় মূলত আবহাওয়ার বদলের ফলেই।
লখনউয়ের ঔরঙ্গাবাদে রবিবার পঞ্চম মুখ্যমন্ত্রী আরোগ্য মেলার অঙ্গ হিসাবে ওই কর্মসূচি চলছে। সেখানে আদিত্য়নাথ বলেন, গতকাল মেরঠে কিছু লোকের সোয়াইন ফ্লুতে মৃত্যুর খবর দেখলাম। ফ্লু কিন্তু রোগ নয়। আবহাওয়ার বদলের সময় কারও কারও ঠান্ডা লেগে যায়। ফ্লুতেও এমনটাই হয়। এর ফলে যা ঘটে, তার ওপর ভিত্তি করেই আমরা কোনওটাকে সোয়াইন ফ্বু, বা বার্ড ফ্লু বা অন্য কোনও নাম দিই।
বর্তমানে সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে। ভারতে অবশ্য বাড়ছে সোয়াইন ফ্লুর দাপট, বিশেষত উত্তরপ্রদেশে। শুধু মেরঠেই ৬জনের মৃত্যু হয়েছে এতে। গোটা রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৯ জনের। গত দু-তিনদিনে মেরঠে সোয়াইন ফ্লুতে ১৭ জন প্রভিন্সিয়াল আর্মড কনস্টেবুলারি (পিএসি) জওয়ানের সোয়াইন ফ্লু পজিটিভ ধরা পড়েছে।
আদিত্যনাথ অবশ্য যে কোনও রোগ ছড়িয়ে পড়া রুখতে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। বলেছেন, রোগ ছড়ালেও আতঙ্কিত হবেন না। স্বাস্থ্য দপ্তর বরং আগে থেকে তৈরি থাকুক অ্যাকশন প্ল্যান বানিয়ে। হাসপাতালগুলিকেও আগে থেকে বিশেষ ওয়ার্ড বানিয়ে সাবধান, সজাগ করা উচিত, যাতে রোগ না ছড়ায়। কিন্তু আতঙ্ক, ভয় ছড়ানোর দরকার নেই। মানুষকে কী করে রোগ ঠেকানো যায়, সেরে ওঠা যায়, সে ব্যাপারে জানানো উচিত। সজাগ হতে হবে স্বাস্থ্য দপ্তরকেও। জাপানি এনসেফালাইটিস ও অ্যাকিউট এনসেফালাইটিস কীভাবে পূর্ব উত্তরপ্রদেশে একসময় ফি বছর মহামারীর চেহারা নিত, তা স্মরণ করে আদিত্য়নাথ বলেন, ১৯৭৭-৭৮ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বছরে তিন-চার মাসে ৫০০ থেকে ১৫০০ বাচ্চা মারা যেত। কিন্তু আমাদের সরকারের ব্যাপক প্রচার অভিযানের মাধ্যমে আমরা সেই মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশ কমিয়ে আনায় সফল হয়েছি।
ডেঙ্গু, কালাজ্বরের মতো রোগও একই ভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি মিডিয়াকেও তিনি কোনও রোগ নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলেন। বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতনতা প্রসারে চেষ্টা করা উচিত আমাদের। মশাবাহিত রোগ মোকাবিলায় লাগাতার সাফাই অভিযান চালানোর কথাও বলেন তিনি।