গুয়াহাটি: প্রতিবছরের মতো এবারও বদলাল না চিত্রটা। বর্ষার আগেই ভয়াবহ বন্যায় তছনছ অসম (Assam)। টানা কয়েকদিন প্রবল বৃষ্টি চলছে অসমে। তার জেরেই এমন বন্যা (Flood)। প্রভাব পড়েছে অসমের ২০টি জেলায়। ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত লাখ দুয়েক বাসিন্দা। 


অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা কাছাড় (Kachar)। শুধু ওই জেলাতেই ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ। কাছাড়ের সাড়ে ছশোরও বেশি গ্রাম বন্যার কবলে। চাষেও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্তত ১৬ হাজার হেক্টরেরও বেশি পরিমাণ জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন। গোটা জেলায় একাধিক ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে। অসমের জোরহাট, নওগাঁ জেলার পরিস্থিতিও অত্যন্ত উদ্বেগের।  


বিপদসীমার উপরে ব্রক্ষ্মপুত্র:
অসমের জীবনের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে ব্রক্ষ্মপুত্র (Brahmaputra) নদ। এখন সেই নদ বিপদসীমার উপরে বইছে। জোরহাটের (Jorhat) কাছেও নদী বিপদসীমার উপরে। 


বিপদ বাড়াচ্ছে ধস:
বন্যা এবং বৃষ্টির সঙ্গেই চিন্তা বাড়াচ্ছে ধস। নিউ কুনজুং, ফিয়াংপুই, মউলহই, মহাদেব টিলা, নর্ত বাগেটার--এরকম একাধিক এলাকায় ধস শুরু হয়েছে। ধসের (Landslide) কারণে একাধিক এলাকায় রেল লাইন ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ফলে বেশ কিছু লোকালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর। 






জোরকদমে উদ্ধারকাজ:
পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে ওঠায়, উদ্ধারকাজের (Evacuation) জন্য নামানো হয়েছে সেনা, আধাসেনাকে। উদ্ধারকাজে নেমেছে অসম পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। অসমের বন্যা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে ইতিমধ্যেই অসমের জন্য ১২৫ কোটি টাকার তহবিল দিয়েছে কেন্দ্র। 


আরও পড়ুন: তাজমহলের ২২টি বন্ধ ঘরে কী? ছবি প্রকাশ এএসআই-এর