শ্রীনগর: রবিবারের ব্যস্ত বাজারে সবাই যখন জিনিস কেনাকাটায় ব্যস্ত। সেই সময় আচমকা গ্রেনেড হামলা (Grenade attack) চালাল অজ্ঞাত পরিচয়ের দুষ্কৃতীরা। আজ ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে (Srinagar) কড়া নিরাপত্তার মধ্যে থাকা টুরিস্ট রিসেপশন সেন্টারের কাছে। এই হামলার ফলে জখম হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। শনিবারই শ্রীনগরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হয়েছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তইবার একজন শীর্ষ স্থানীয় কমান্ডার। তার বদলা নিতেই রবিবার শ্রীনগরের ব্যস্ত বাজারে জঙ্গিরা গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
শ্রীনগরের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের সূত্রে জানা গেছে, শ্রীনগরের রেডিও কাশ্মীর ক্রশিংয়ের কাছে অবস্থিত একটি ফ্লাইওভার থেকে গ্রেনেড ছোঁড়া হয় রবিবার বাজার করতে আসা সাধারণ মানুষদের লক্ষ্য করে। এই গ্রেনেড হামলায় যাঁরা জখম হয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই কাশ্মীরের স্থানীয় বাসিন্দা। আচমকা ব্য়স্ত বাজারের মধ্যে এইভাবে গ্রেনেড হামলার ফলে নিমেষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সেখানে থাকা সাধারণ মানুষের মধ্যে।
এদিকে এই গ্রেনেড হামলার খবর পেতেই নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা ও চিকিৎসকদের একটি দল সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে পৌঁছান বিস্ফোরণস্থলে। তারপর গ্রেনেড হামলায় জখমদের নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় শ্রীনগরের শ্রী মহারাজা হরি সিং হাসপাতালে। পাশাপাশি গ্রেনেড হামলায় জড়িত জঙ্গিদের খোঁজে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু করেন নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা।
জঙ্গি হামলার খবর পেতেই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। এভাবে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালানো বিকৃতি মানসিকতার পরিচয় বহন করছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। ওমর আবদুল্লা টুইট করে, গত কয়েকদিন ধরে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে খালি উপত্যকায় জঙ্গি হামলা ও এনকাউন্টারের খবরও দেখা যাচ্ছে। আর আজ শ্রীনগরে রবিবারের বাজারে যে সাধারণ নিরীহ মানুষের ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আশা করব নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা এই ধরনের হামলা রোখার জন্য তাড়াতাড়ি সবরকমের চেষ্টা চালিয়ে জঙ্গিদের ধরতে সক্ষম হবেন যাতে সাধারণ মানুষ কোনও আতঙ্ক ছাড়াই তাঁদের জীবন যাপন করতে পারেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবারই নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা উপত্যকায় দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত উসমান নামে একজন শীর্ষস্থানীয় লস্কর কমান্ডারকে গুলি করে খতম করেছে। খতম হওয়া ওই জঙ্গি গত বছরের অক্টোবর মাসে ক্রিকেট খেলার সময় কাশ্মীর পুলিশের ইন্সপেক্টর মাসরুর ওয়ানি একদম কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করেছিল। এই এনকাউন্টারে সিআরপিএফের দুই জওয়ান এবং দুই পুলিশ কর্মীও জখম হয়েছিলেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।