নয়াদিল্লি: সরকারি জমি দখল করে মাদ্রাসা ও মসজিদ (Illegal Madrassa Demolition) তৈরির অভিযোগে অশান্তির ঘটনায় হলদোয়ানিতে (Haldwani Violence Update) প্রাণ গেল ৫ জনের। গত ৮ ফেব্রুয়ারি, হলদোয়ানির বানভুলপুরা এলাকায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল। এখনও পর্যন্ত অন্তত ৫ হাজার জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।  অশান্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫০ জনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। উত্তরাখণ্ড পুলিশের প্রধান, অভিনব কুমার জানান, সে দিন যারা পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের আওতায় মামলা দায়ের করা হবে। 


এখন যা ছবি...
আশার খবর একটাই। শুক্র ও শনিবার, হলদোয়ানিতে নতুন করে কোনও অশান্তির খবর নেই। বেশ কিছু জায়গা থেকে কার্ফু প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে বানভুলপুরা এলাকায় এখনও তা বলবৎ রয়েছে। নৈনিতালের কাছে ওই শহরে, অন্তত ১ হাজার জন পুলিশ আধিকারিক মোতায়েন রয়েছে। এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) এ পি অংশুমান জানান, যে এলাকায় অশান্তি ছড়িয়েছিল সেখানে টানা প্যাট্রলিং চলছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি হলদোয়ানি এসে জখম কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁর কথায়, এটি 'পরিকল্পিত হিংসা' যার জন্য আগে থেকে অস্ত্র, পাথর এবং পেট্রল বোমা মজুত করা ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'আমাদের মহিলা পুলিশকর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। একজন সাংবাদিকের গায়েও আগুন ধরাতে গিয়েছিল ওরা। সামাজিক স্থিতাবস্থা, যা কিনা উত্তরাখণ্ডের পরিচিত ছবি, সেটা নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছিল।'


আর যা...
এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানিতে সরকারি জমি দখল করে মাদ্রাসা ও মসজিদ তৈরি করার অভিযোগ ছিল। তা তুলতে পদক্ষেপ করছিল সরকার। সেই নিয়ে চাপা উত্তেজনাও ছিল। ওই নির্মাণ বেআইনি বলে ঘোষণা করে প্রশাসন। তারপরে আদালতের নির্দেশ নিয়ে  দুই নির্মাণ ভাঙতে এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ-প্রশাসনের বড় দল। তখনই ছড়িয়ে পড়ে হিংসা। স্থানীয় বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ পাল্টা পুলিশের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সেই সংঘর্ষ ঘিরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল হলদোয়ানির বনভুলপাড়া এলাকা। রিপোর্ট অনুয়ায়ী, স্থানীয়দের একাংশের হামলায় একাধিক পুলিশকর্মী জখম হন। একটি সূত্রের মতে, জখম পুলিশ আধিকারিকের সংখ্যা ১০০-র কাছাকাছি। পুলিশকর্মী, পুরসভার কর্মীদের লক্ষ্য করে লাগাতার পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক গাড়ি-বাইকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিপুল সংথ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রাখা হ. ওই এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেহরাদূন ,হরিদ্বার ও উধম সিংহ নগরেও কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন:তিন বছরে সর্বোচ্চ, PF-এ সুদের হার বৃদ্ধির প্রস্তাব EPFO-র