ঢাকা: ঢাকার মগবাজার প্লাজায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। রবিবার সন্ধে সাড়ে ৭ টা নাগাদ এলাকাটি বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে বলে জানায় স্থানীয়রা। ঘটনায় তিনতলা একটি ভবন ধসে পড়েছে। জানা গিয়েছে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা দুটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশপাশের সাতটি ভবন ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভবনের নিচে থাকা দোকান-পাঠও।


৭ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি পথযাত্রী, বাসযাত্রী-সহ আহত হয়েছেন প্রায় ৫০ জন। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও মগবাজারের কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সূত্রের খবর প্রথমে ১২ জনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়। 


সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে আরও দুটি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। মৃতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। বাকিরা সকলেই পুরুষ। এ দিন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় অ্যাম্বুলেন্স ও দমকল বাহিনী। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। পৌঁছন ঢাকার মহানগর পুলিশ কমিশনারও। 


তবে ঠিক কী কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের ধারণা, গ্যাস থেকেই সম্ভাবতা এই বিস্ফোরণ। ভবনের নিচে ফাস্ট ফুডের দোকান ছিল। দ্বিতীয় তলায় ছিল একটা শো রুম। সেখানে ফ্রিজ ছিল। তিন তলায় ছিল একটা স্টুডিও। ভবনের সামনের রাস্তায় কাজ চলছিল। সেখানেও গ্যাস ও ইলেকট্রিকের তার রয়েছে। 


অন্যদিকে স্থানীয়দের একাংশের কথায়, ট্রান্সফর্মার, বাতানুকূল যন্ত্র বা জেনারেটর থেকেই বিস্ফোরণ হতে পারে। বিদ্যুৎ বণ্টনকারীর সংস্থার তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, বৈদ্যুতিক কোনও কারণে বিস্ফোরণ হয়নি। 


বিস্ফোরণস্থলে ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁরা খতিয়ে দেখছে কী থেকে বিস্ফোরণ হতে পারে। দমকলের একটি অংশের ধারণা, ওই বাড়ির নীচের তলার অনেক ফ্রিজ ছিল। সেখান থেকে বিস্ফোরণ হতে পারে। তবে ঠিক কীভাবে এই বিস্ফোরণ তার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।