নয়াদিল্লি: ২৪ ঘণ্টায় ৩২০! গাজা স্ট্রিপের অন্তত ৩২০টি লক্ষ্যে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল (Israel Limited Raid), দাবি সে দেশের সেনার। রবিবার রাতভরের হামলায় ৭০ জনের প্রাণ গিয়েছে বলে জানাচ্ছে হামাস। বস্তুত, গত ৭ অক্টোবর থেকে দু-তরফের মধ্যে যে ভয়ঙ্কর সংঘর্ষ চলছে, তাতে এর মধ্যেই গাজায় (Israel Gaza War) অন্তত ৪ হাজার ৬০০ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। ইজরায়েলের ক্ষেত্রে প্রাণহানির সংখ্যা ১ হাজার ৪০০। বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুর প্রশাসনের অভিযোগ, ৭ অক্টোবরের অতর্কিত হামলায় বহু মানুষকে পণবন্দি করেছিল হামাস। আইডিএফ আজ যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, তা অনুযায়ী ২২২ জনকে পণবন্দি করে হামাস। ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ, পাল্টা-অভিযোগের মধ্যে পড়ে কাতরাচ্ছেন গাজার সাধারণ মানুষ। তবু যুদ্ধ থামার লক্ষণ কই?


'লিমিটেড রেড'...
ইজরায়েলের বক্তব্য, প্যালেস্তিনীয় বন্দুকবাজদের মোকাবিলায় তাদের 'গ্রাউন্ড ফোর্স' রবিবার রাতভর 'লিমিটেড রেড' চালিয়েছে। আর আকাশপথে লক্ষ্য করা হয়েছে শুধুমাত্র সেই জায়গাগুলিকে যেখানে হামাস পরবর্তী আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়, তাতে বলা হয়েছিল, 'হামাস জঙ্গিরা যে সব সুড়ঙ্গে থাকছিল, একাধিক সক্রিয় কমান্ড সেন্টার, ইসলামিক জিহাদ জঙ্গি, তাদের সেনা কম্পাউন্ড এবং অবজার্ভেশন পোস্ট, এমন সব লক্ষ্যেই আক্রমণ চালানো হয়।' যদিও একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের কাছেও আক্রমণ চালানো হয়েছিল। তাতে বহু প্যালেস্তিনীয়র মৃত্যু হয়, অনেকে গুরুতর জখম হন। গত সপ্তাহ দুয়েকেরও বেশি সময় ধরে গাজা ভূখণ্ডের হাল কার্যত নরকের মতো। জল-জ্বালানি-পানীয়র অভাবে বহু মানুষ মারা গিয়েছেন। যাঁরা বেঁচে, তাঁদের দুর্দশা কল্পনারও বাইরে। এর মধ্যে একচিলতে ভূখণ্ডের এক হাসপাতালে বিস্ফোরণের ঘটনায় পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যায়। এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত মরফিন তথা ব্যথার ওষুধ না থাকায় এগুলির যথাযথ ডোসেজ ছাড়াই অপারেশন করতে হচ্ছে ডাক্তারদের। হাসপাতালে হামলার জন্য প্রথমে ইজরায়েলের দিকে আঙুল উঠলেও পরে গাজার অনুসারী সংগঠনের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওঠে। দায় কার, সেটা স্পষ্ট নয় এখনও। কিন্তু পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা কেন করা যাচ্ছে না, সেটা নিয়ে তোলপাড় আন্তর্জাতিক মহল।


গাজার ত্রাণ...
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল সোমবার যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় দ্রুত ত্রাণ পৌঁছনোর আর্জি জানান। একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, মানবিকতার খাতিরে ত্রাণ এই সংঘর্ষ আপাতত বন্ধ করা যায় কিনা তা নিয়ে অবিলম্বে আলোচনা করুক ইইউ। গত সপ্তাহান্তে মিশরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে দুটি ট্রাকের কনভয় ত্রাণ নিয়ে গাজায় গিয়েছে। সোমবার আরও একটি ট্রাকের কনভয় গাজা ঢোকে। যদিও ত্রাণকার্যের সঙ্গে জড়িত সংগঠনগুলির বক্তব্য, ইজরায়েলি অবরোধ ও বোমাবর্ষণের জেরে পুরোপুরি বিধ্বস্ত একচিলতে ভূখণ্ডে এই মুহূর্তে আরও ত্রাণের দরকার। সে সব আসবে কবে? অবরোধ উঠবে কবে? যুদ্ধই বা কবে থামবে? উত্তর নেই। 


আরও পড়ুন:শেষ নির্মাণের কাজ, ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগেই ওয়াংখেড়েতে উন্মোচিত হবে সচিনের মূর্তি