নয়াদিল্লি: দুদিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে আগেই। এবার এ নিয়ে সরব দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ট্যুইটার হ্যান্ডলে লেখেন, দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে পশ্চিমবঙ্গে আক্রমণ করা হয়েছে। এই আক্রমণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই আক্রমণের ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। ইচ্ছাকৃতভাবে এই হামলা কেন করা হল, শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছে তার জবাবদিহি করতে হবে তৃণমূলকে। তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে স্বৈরাচারী শাসন চলছে। গণতন্ত্র এখানে বিঘ্নিত হচ্ছে। তৃণমূল আমলে একটা কালো অপশাসনের যুগ চলছে বাংলায়। তৃণমূল রাজনৈতিক হিংসাকে বাড়তে দিচ্ছে এবং তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। এই অবস্থা অত্যন্ত যন্ত্রণার এবং চিন্তারও বিষয়।


এদিন এই হামলার নিন্দা করেছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালও। তিনি এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে ব্যাখ্যা করেছেন। একইসঙ্গে বলেছেন, শ্বাসরোধকারী গণতন্ত্র। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এটা স্পষ্ট যে বিজেপির জনপ্রিয়তা ওরা সহ্য করতে পারছে না। গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। যারা নাড্ডাকে আক্রমণ করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এটা শুধু তাঁর উপর হামলার বিষয় নয়,  দেশের গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।


 উল্লেখ্য, বঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে সভা ছিল নাড্ডার। ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায়। আমতলা থেকে শিরাকোল অবরোধ করে তৃণমূল। দফায় দফায় আটকায় নাড্ডার কনভয়। শিরাকোল মোড় ছাড়তেই শুরু হয় ইটবৃষ্টি। আমতলা থেকে শিরাকোল পর্যন্ত রাস্তায় দফায় দফায় বাধার মুখে পড়ে কনভয়।  উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।  উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।  পাথর ছোড়া হয় কৈলাস বিজয়বর্গীয়র গাড়িতে। কনভয়ের বেশ কয়েকটি গাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ বিজেপির।  কয়েকটি গাড়ির কাচ ভাঙে।  সরিষার কাছে ভাঙচুর চলে যাত্রীবাসেও। এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ডায়মন্ডহারবার যাওয়ার পথে তৃণমূল সমর্থকরা জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলা চালায়। ইটবৃষ্টিতে অনেকের গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। এটাই তৃণমূলের আসল চেহারা।