কলকাতা: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি সূত্রের জানা গিয়েছে একথা।
আজ ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সভা ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে। আমতলা থেকে শিরাকোল অবরোধ করে তৃণমূল। দফায় দফায় আটকানো হয় নাড্ডার কনভয়। ইটবৃষ্টিও হয়। নাড্ডার কনভয় সহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। কয়েকটি গাড়ির কাচ ভাঙে। সরিষার কাছে ভাঙচুর চলে যাত্রীবাসেও। আমতলা থেকে শিরাকোল পর্যন্ত রাস্তায় দফায় দফায় বাধার মুখে পড়ে কনভয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পাথর ছোড়া হয় শীর্ষ বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র গাড়িতে। উড়ন্ত বোতলের ঘায়ে বিজেপি র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়ির কাচ ভেঙে আহত হন এক নিরাপত্তাকর্মী।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজ্যের মুখ্য সচিবকে কনভয়ে হামলার অভিযোগ নিয়ে চিঠি লিখেছেন। যেখানে নাড্ডাকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। উল্লেখ্য, ১২০ দিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সফরে যাবেন নাড্ডা। বুধবার পশ্চিমবঙ্গের দুদিনের সফরের মধ্যে দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
এই হামলার পরই আসরে নেমেছে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে রেলমন্ত্রী পীযূয গয়াল এর নিন্দা করেন। এদিন শাহ ট্যুইটার হ্যান্ডলে লেখেন, দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে পশ্চিমবঙ্গে আক্রমণ করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই আক্রমণের ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। ইচ্ছাকৃতভাবে এই হামলা কেন করা হল, শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছে তার জবাবদিহি করতে হবে তৃণমূলকে। পীযূষ গয়ালও বলেছেন, এটা শুধু তাঁর উপর হামলার বিষয় নয়, দেশের গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ। শ্বাসরোধকারী গণতন্ত্র। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এটা স্পষ্ট যে বিজেপির জনপ্রিয়তা ওরা সহ্য করতে পারছে না। গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে।