মামুলি পরিবার থেকে উঠে আসা অক্ষয় সঙ্কটের সময় অন্যদের সাহায্য করতে পেরে খুশি বলে জানিয়েছেন। বলেছেন, বিয়েটা হওয়ার কথা ছিল ২৫ মে। কিন্তু লকডাউনের জন্য প্রেমিকা , আমি মিলে স্থির করি, এখন বিয়ে করা ঠিক হবে না। লকডাউনে গরিব মানুষ, বিশেষত আটকে পড়া কাজ, আয় হারানো ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের দুঃখ কষ্ট তাঁকে পীড়া দিয়েছে।
অক্ষয় বলেছেন, রাস্তায় এমন অনেককে দেখেছি, এক বেলার খাবারের সংস্থান করাও যাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তখন আমি ও কিছু বন্ধু ঠিক করি, ওদের সাহায্য করব। আমার জমানো টাকা এতে ঢালার সিদ্ধান্ত নিই, বন্ধুবান্ধবরাও সাহায্য করেছে। তারপর পুণের টিম্বার মার্কেট এলাকার বাসিন্দা অক্ষয় বন্ধুদের নিয়ে অস্থায়ী রান্নাঘর তৈরি করে চাপাতি, সব্জি বানিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক, দিন আনা দিন খাওয়া লোকজনকে খাবার বিতরণ করা শুরু করেন। অটোরিক্সায় চেপে রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় খাবার বিলি করেন তাঁরা। এদিকে একসময় টাকা ফুরিয়ে আসায় নতুন করে টাকা তুলে পোলাও, মশালা রাইস বা সম্ভর রাইস বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। হাতে সঞ্চিত অর্থে অন্তত ৩১ মে পর্যন্ত এভাবে গরিবদের খাওয়ানোর পরিকল্পনা আছে তাঁদের। এছাড়া এলাকার ফুটপাথের বাসিন্দাদের মাস্ক, স্যানিটাইজারও বিলিয়েছেন তাঁরা।