হায়দরাবাদ: ফের ধর্ষণের ঘটনায় শিরোনামে হায়দরাবাদ। এবার ঠাকুমার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার অছিলায় পথ ভুলে যাওয়া এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক অটোচালকের বিরুদ্ধে।
খবরে প্রকাশ, গত ৮ ডিসেম্বর রাতে ঠাকুমার কাছে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বছর আঠারোর ওই যুবতী ও তাঁর ১০ বছরের বোন। এক বয়স্ক অটোচালক তাঁদের দেখতে পান। নির্যাতিতাকে তিনি প্রশ্ন করেন, এত রাতে তাঁরা কোথায় যাচ্ছেন? উত্তরে তরুণী জানান, তাঁরা ঠাকুমার বাড়ি যাচ্ছিলেন। কিন্তু, রাস্তা ভুলে গিয়েছেন। এই শুনে যুবতী ও তাঁর বোনকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান অটোচালক।
কিন্তু, সেখানে ওই অটোচালকের মা ছেলেকে নির্দেশ দেন, অবিলম্বে দুজনকে বাড়ি পৌঁছে দিতে। ওই ব্যক্তির ছোট ভাই, যে নিজেও অটোচালক দুজনকে নিয়ে রওনা দেয়। কিন্তু, যুবতীর বাড়ি না গিয়ে দুজনকে সে নিয়ে যায় নামপল্লি এলাকার একটি লজে।
অভিযোগ, ছোট বোন যখন ঘুমাচ্ছিল, সেই সময় যুবতীকে ধর্ষণ করে ওই অটোচালক। পরের দিন দুজনকে ফলকনামা স্টেশনে ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। যুবতী কোনওমতে এক আত্মীয়কে ফোন করে বাড়ি ফিরে আসে। বৃহস্পতিবার, নির্যাতিতার পরিবারের তরফে পুলিশে অটোচালক দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করা হলে বড়ভাইকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত ছোটভাই এখনও পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। দুজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এদিনই ধর্ষণে দোষী সাব্যস্তদের ২১ দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে নতুন বিল পাশ করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা। এই আইন অনুযায়ী, ধর্ষণ ও গণধর্ষণে দোষীসাব্যস্তদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। ২১ দিনের মধ্যে বিচারপর্ব শেষ করতে হবে। ৭ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে পুলিশের তদন্ত। পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে শুনানি। বিলটি অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে।