নয়াদিল্লি:  বর্ষা নামতেই এবার উদ্বেগ রাম মন্দিরে ( Ram Mandir )। একটু জোরে বৃষ্টির পরই দেখা গেল মন্দিরের ছাদ দিয়ে পড়ছে জল। একেবারে গর্ভগৃহের ছাদ থেকে ঢুকছে জল।  জানিয়েছেন খোদ প্রধান পুরোহিত । আচার্য সত্যেন্দ্র দাস সোমবার জানান, বৃষ্টির পর থেকেই এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। সবেই ৬ মাস পেরিয়েছে মন্দির উদ্বোধনের। তারপর এটাই প্রথম বর্ষা। আর তখনই এই সমস্যা। 


আচার্য দাস গত শনিবার মধ্যরাতে বৃষ্টির পর দেখেন গর্ভগৃহের ছাদ থেকে জল পড়ছে। তাঁর অভিযোগ, মন্দির চত্বর থেকে বৃষ্টির জল বেরনোর কোনও ব্যবস্থা নেই । উপযুক্ত নিকাশি না-থাকার দরুণই এই বিপর্যয়, দাবি মন্দির কর্তৃপক্ষের। তাই দ্রুত নিকাশি ব্যবস্থার সংষ্কার চেয়েছেন তাঁরা।  রাম মন্দিরের তরফে  সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান।  মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র মন্দিরে পৌঁছে ছাদ মেরামত করে জল আটকানোর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। 


মন্দির নির্মাণের অগ্রগতি সম্পর্কে  নৃপেন্দ্র মিশ্র জানান, মন্দিরের প্রথম তলায় কাজ চলছে । এই বছরের জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হবে সম্পূর্ণ কাজ।  ডিসেম্বরের মধ্যে মন্দিরের নির্মাণ পুরোপুরি শেষ হবে। আচার্য সত্যেন্দ্র দাস সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার মধ্যরাতে প্রথম ভারী বর্ষণ হয় অযোধ্যায়। তারপরই মন্দিরের গর্ভগৃহের ছাদে বড় ফাটল দেখা যায়। সেখান থেকে পূজারির বসার জায়গায় ঝরঝর করে জল পড়তে শুরু করে।  এছাড়া ভিআইপি দর্শনের জন্য যেখানে সকলে আসেন, সেখানেও বৃষ্টির জল পড়ছিল।


ভক্তদের প্রশ্ন, এটা খুবই আশ্চর্যজনক যে সারাদেশের বিশিষ্ট প্রকৌশলীরা রাম মন্দির তৈরির কাজেন সামিল হয়েছিলে। ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয়েছে মন্দিরের। কিন্তু, তারপরও এমন বিপর্যয় কেন ? এদিকে শনিবার রাতের বৃষ্টির পর থেকে রামপথ সড়ক ও এর আশপাশের লেনেশেরে জল জমে যায়। নর্দমার জল ঢুকে পড়ে এলাকায়।  জলে ভেসে যায় জলওয়ানপুরা থেকে হনুমানগড়ি ভক্তিপথ এবং তেধি বাজার এলাকা। 


এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস বিজেপির দিকেই আঙুল তুলেছেন। মন্দির নির্মাণ এবং  নাগরিক সুবিধা নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ করেছে হাত-শিবির। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: আরও পড়ুন: প্রথম দিনেই ৬৮ হাজার আবেদন! কেমন কাজ করল কলেজে ভর্তির পোর্টাল?