১৯৯১ সালে বিতর্কিত স্থান সহ গোটা জমিটি অধিগ্রহণ করে কেন্দ্রীয় সরকার।
শনিবার সু্প্রিম কোর্টের অযোধ্যা মামলার রায় বেরনোর পরই আনসারি জানিয়েছিলেন, তিনি রিভিউ চেয়ে আবেদন করবেন না। মুসলিমরা নিজেরাই মসজিদের জন্য জমি কিনে নিতে পারেন, সরকারের ওপর এজন্য তাঁরা নির্ভরশীল নন বলে দাবি করেন মৌলানা জালাল আশরফ নামে স্থানীয় এক মৌলবি। তিনি বলেন, আদালত বা সরকার আমাদের ক্ষোভের কিছুটা উপশম করতে চাইলে ৫ একর জমির ব্যবস্থা করুক অধিগৃহীত এলাকার মধ্যেই, কেননা অষ্টাদশ শতকের সুফি সন্ত কাজি কুদওয়া সহ অনেকের দরগা, কবরস্থান ওখানে আছে।
অল ইন্ডিয়া মিল্লি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক খালিক আহমেদ খানেরও একই অভিমত। মুসলিম তরফের আরেক মামলাকারী হাজি মেহবুবও বলেছেন, আমরা এই ললিপপ গ্রহণ করব না। ওরা পরিষ্কার করুক, কোথায় আমাদের জমি দিতে চায়। তাঁদের সম্প্রদায় বাবরি মসজিদের বিনিময়ে কোনও জমি চান না বলে জানিয়ে অযোধ্যা পুরসভার জনপ্রতিনিধি হাজি আসাদ আহমেদ বলেন, সরকার বা আদালত মসজিদের জন্য জমি দিতে চাইলে ৬৭ একর অধিগৃহীত এলাকাতেই দিক, নয়তো আমরা কিন্তু দান চাই না।
জমিয়ত উলেমা হিন্দের অযোধ্যা শাখার সভাপতি মৌলানা বাদাহা খানের দাবি, অন্য কোনও জমি নয়, বাবরি মসজিদের জন্যই তাঁরা মামলা লড়েছেন। তিনি বলেছেন, মসজিদের জন্য আর অন্য কোথাও জমি চাই না। বরং এই জমিটাও রামমন্দিরের জন্য দিয়ে দেব।
সমাজকর্মী ইউসুফ খানের অভিমত, ধর্মীয় প্রয়োজন পূরণে অযোধ্যায় যথেষ্টসংখ্যক মসজিদ আছে। সুপ্রিম কোর্ট রামমন্দিরের পক্ষে রায় দিয়েছে। ফলে ইস্যুটা এখন খতম। মসজিদের জন্য কোনও বাড়তি জমির দরকার নেই।
এদিকে সূত্রের খবর, প্রস্তাবিত মসজিদের জন্য অযোধ্যা ও তার আশপাশে বিকল্প জমি বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্তা বলেন, কোনও চোখে পড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মসজিদের জমি খুঁজতে বলা হয়েছে আমাদের। তবে শেষ পর্যন্ত জমি নেওয়ার ব্যাপারে অবস্থান ঠিক করতে উত্তরপ্রদেশ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড লখনউয়ে ২৬ নভেম্বর বৈঠক ডেকেছে।