কোচি: আজকের এই ইঁদুর দৌড়ের জীবনে সন্তানকে সব ক্ষেত্রে সবার প্রথমে নিয়ে আসার মরিয়া চেষ্টা করে চলেছেন অভিভাবকরা। আর তাঁদের ইচ্ছায় ক্রমাগত ইন্ধন জুগিয়ে যাচ্ছে সরকারি বা বেসরকারি ইস্কুলগুলির কর্তৃপক্ষ। যার ফলে ছোট ছোট শিশুদের মধ্যে মানসিক চাপ যেমন বাড়ছে তেমনি দ্রুতগতিতে বাড়ছে তাদের ব্যাগের ওজন। নিজের ওজনের থেকে বেশি ব্যাগের বোঝা নিয়ে প্রতিদিনই প্রায় স্কুলমুখী হয়ে চলেছে শিশুরা। যার ফলে তাদের শারীরিক গঠনেও পরিবর্তন আসছে। এই পরিস্থিতিতে অভিনব এক পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে চাইছে কেরলের পিনারাই বিজয়নের সরকার (Kerala government)। 


আরও পড়ুন: Delhi Coaching Centre Mishap: হঠাৎ জলের তলায় দিল্লির IAS কোচিং সেন্টারের বেসমেন্ট, প্রাণ গেল ২ ছাত্রীর, নিখোঁজ আরও ১ !


ছোট ছোট শিশুদের কাঁধ থেকে বই ও খাতা ভর্তি ব্যাগের বোঝা নামাতে স্কুলে স্কুলে মাসে কয়েকটি দিন ব্যাগমুক্ত দিবস (Bag Free Days) চালু করার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে চলেছে কেরল সরকারের শিক্ষা দফতর। তাদের পরিকল্পনা, মাসে অন্তত চারদিন শিশুরা স্কুলে পড়ার জন্য উপস্থিত হবে কোনও ব্যাগ ছাড়াই।


কেরলের সরকার সূত্রে জানা গেছে, ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত পড়ুয়াদের যেভাবে অতিরিক্ত ভারী ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যেতে হচ্ছে তার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল অনেক অভিভাবকরা এই বিষয়ে সরকারের কাছে একাধিক অভিযোগ জানিয়েছেন। তারপরই এই বিষয়ে নড়েচড়ে বসেছে সরকার। বিষয়টি মেনে নিয়ে কেরলের শিক্ষামন্ত্রী ভি শিভানকুট্টি জানান, সরকারের তরফে এই সমস্যাটির সমাধানের জন্য একাধিক পরিকল্পনা নিচ্ছে।


আরও পড়ুন: Sundar Pichai: গুগলের সিইও হওয়া সেভাবে আনন্দ দেয়নি মা-বাবাকে, কেন এমন বললেন গুগল সিইও সুন্দর পিচাই?


ইতিমধ্যেই সরকারে তরফে কিছু পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে। যেমন মুদ্রিত পাঠ্যপুস্তককে দুভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। যাতে বইয়ের বোঝা কিছুটা হালকা হয়। তারপরও অভিযোগ আসতে থাকায় প্রতিটি ক্লাসের জন্য আলাদা আলাদা ব্যাগ ওজন নির্ধারণ করে এই বিষয়ে স্কুলগুলির জন্য স্পেশাল গাইডলাইন ইস্যু করেছে কেরল সরকার। আর ব্যাগমুক্ত দিনের প্রচলন এই বিষয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে চলেছে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Mirzapur News: যোগীরাজ্যে বরখাস্ত তোলাবাজিতে দোষী সাব্যস্ত ২৯ জন পুলিশকর্মী