নয়াদিল্লি: হুমকি-হুঁশিয়ারি নয় শুধু। বালুচিস্তানে পণবন্দিদের খুন করাই হল। Baloch Liberation Army (BLA) বিবৃতি দিয়ে একথা জানাল। তাদের দাবি, পাকিস্তানি সেনাকে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। তাই পণবন্দি ৫০ জনকে খুন করা হয়েছে। বাকিদের অক্ষত দেখতে চাইলে, এখনই অভিযান বন্ধ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মি। পাক সেনাকে ২০ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে BLA. নিঃশর্ত ভাবে তাদের সংগঠনের সদস্যদের জেল থেকে ছেড়ে দিতে হবে দাবি জানিয়েছে তারা। (Balochistan Train Hijack)


বুধবার BLA-র লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, 'আগের রাতে পাকিস্তান যে ড্রোন হামলা চালায়, তার জবাবে শত্রুপক্ষের ১০ জনকে নিকেশ করেছি আমরা। আজ আবার সংঘর্ষ হয়েছে, তাতে ১০ পাকিস্তানি সৈনিককে নিকেশ করা হয়েছে। গতকালের সংঘর্ষে ৩০ জন প্রাণ হারান। সবমিলিয়ে শত্রুপক্ষের ১০০-র বেশি জনকে নিকেশ করেছি আমরা। এখনও BLA-র হাতে পণবন্দি রয়েছেন ১৫০ জন'। (Balochistan Train Hijack)


চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি হিসেবে BLA-র বক্তব্য, ‘BLA-র সংগঠিত ও পেশাদার যোদ্ধারা শত্রুপক্ষের হামলা প্রতিহত করেছে। লজ্জায় পিছু হটতে হয়েছে তাদের। তার পরও BLA-র তিন জন শহিদ হয়েছেন। বালুচিস্তানের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন তাঁরা’।



পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষমতা, যোগ্যতা এবং সংকল্প রয়েছে BLA-র। এই সংঘর্ষে প্রতিরোধ শুধুমাত্র একটি জায়গার মধ্যে সীমিত নয়। বালুচিস্তানের জাতীয় স্বাধীনতা অর্জনের জন্য় এর ব্যাপ্তি ব্যাপক। প্রতি মুহূর্তে যুদ্ধ আরও গভীর হচ্ছে। পাকিস্তানকে ২০ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি, বন্দি হস্তান্তরে পদক্ষেপ না করলে যত সময় এগোবে, ততই পণবন্দিদের শেষ করে দেওয়া হবে’।


মঙ্গলবার দুপুরে পাকিস্তানের বালুচিস্তানে Jaffar Express হাইজ্যাক করে BLA. প্রায় ৫০০ যাত্রীসমেত ট্রেনটিকে ছিনতাই করা হয়। মহিলা, শিশু এবং সাধারণ কিছু যাত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে রাতের দিকে বিবৃতি দিয়ে জানায় BLA. কিন্তু পাকিস্তানি সেনা, নিরাপত্তা বাহিনী, গোয়েন্দা, পুলিশ ও গুপ্তচর সংস্থার সক্রিয় কর্মীদেরই মূলত পণবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়। ট্রেনটি হাইজ্যাক হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও রুদ্ধশ্বাস অভিযানে ইতি পড়েনি। 


BLA বালুচিস্তানের একটি সশস্ত্র সংগঠন। স্বাধীন বালুচিস্তানের দাবিতে সংঘর্ষ করে চলেছে তারা। বিচ্ছিন্নতাকামী এই সংগঠনকে পাকিস্তান জঙ্গি সংগঠন হিসেবেই গণ্য করে। সংগঠনের দেলবন্দি সদস্যদের মুক্তির দাবিতেই এই ট্রেন ছিনতাই বলে জানা গিয়েছে।