নয়া দিল্লি: সোমবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক অফিসার জানিয়েছেন যে ভারত যে ভাবে অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিচ্ছে, তা ‘অগ্রহণযোগ্য’। মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের (এমওডি) ডিরেক্টর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন যে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) আপাতত পরিস্থিতি ভালোভাবে সামাল দিচ্ছে। এও জানান হয়েছে, প্রয়োজনে হস্তক্ষেপ করতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী।                                                     

ভারত অবৈধভাবে ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ধরে বিজিবি সদস্যদের হাতে তুলে দিচ্ছে । ২০১৬ সালের সরকারি হিসাব অনুসারে, ভারতে প্রায় দুই কোটি অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছে। পাল্টা বাংলাদেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয়দের ভারতে ফেরত পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঢাকা। তবে তা যথাযথ কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম-উদ-দৌলা।                                                

নাজিম-উদ-দৌলা জানান, "সরকার এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছে এবং একে অপরের পরিপূরক। আমরা সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করি। এর অন্যথায় ব্যাখ্যা করার কোনও কারণ নেই"।    

ঢাকার দৈনিক সংবাদপত্র দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, "কখনও কখনও, এমনকি পরিবারগুলিতেও ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। একইভাবে, দেশ পরিচালনার সময় বিভিন্ন স্টেকহোল্ডাররা বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করতে পারে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে বিভাজন বা দ্বন্দ্ব রয়েছে। এরকম কিছুই ঘটেনি।"

সংবাদমাধ্যম ঢাকা ট্রিবিউন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ নাজিম-উদ-দৌলাকে উধৃত করে বলেছে, বিজিবি এই সমস্যাটি কার্যকরভাবে মোকাবিলা করছে। তবে, প্রয়োজনে অথবা সরকারের নির্দেশে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করতে প্রস্তুত। বাংলাদেশি সীমান্ত বাহিনী আন্তর্জাতিক প্রোটোকলের মধ্যে থেকে ভালোভাবে পরিচালনা করছে।  

প্রসঙ্গত ২০১৬ সালের সরকারি হিসাব অনুসারে, ভারতে প্রায় দুই কোটি অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছেন। এর মধ্যে কয়েক লক্ষ হলো বাংলাদেশি। সেই দেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারতে অবৈধ ভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে জোরদার অভিযান শুরু করেছে নয়াদিল্লি। বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের ধরে ধরে বিজিবি-র হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।   

তিনি বলেন, ‘ভারতের মতো চাপ প্রয়োগ করে নয়, কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে বিশ্বাসী বাংলাদেশ। বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই ভারতকে চিঠি দিয়েছে। পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং রোহিঙ্গা বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান বিষয়টি নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ বজায় রাখছেন।’