ঢাকা: বাংলাদেশে বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ। বাংলাদেশ সরকার দেশে লকডাউনের মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়াল। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়াল বাংলাদেশ। যদিও সাম্প্রতিক বিজ্ঞপ্তিতে লকডাউনে বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। ক্যাবিনেট ডিভিশনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে এক জেলা থেকে অন্য জেলাগুলি গণ পরিবহনে যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে যাত্রী সংখ্যা ৫০ শতাংশ থাকতে হবে। এর আগে শুধুমাত্র জেলাগুলির মধ্যে গণ পরিবহণ চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। 
হোটেল ও রেস্তোরাঁ খোলারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে।  তবে হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলিতে মোট আসন ক্ষমতার ৫০ শতাংশের বেশি ক্রেতা থাকা চলবে না। এর আগে হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলিকে সীমিতভাবে কাজ চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। 
গত ৫ এপ্রিল বাংলাদেশে লকডাউন জারি করা হয়েছিল। গত ১৪ এপ্রিল বিধিনিষেধ আরও কঠোর করে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে এই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সেইসঙ্গে সময়ে সময়ে কিছু ছাড়ও দেওয়া হয়েছে। 
উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চ মাস থেকে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধই রয়েছে। জন সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে। প্রকাশ্য স্থানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। 
যাতায়াত ও গণ পরিবহণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ইদের সময় প্রায় ১ কোটি মানুষ তাঁদের নিজেদের শহর ও গ্রামে ফিরে গিয়েছিলেন। রাজধানী ঢাকাতে দেশজোড়া লকডাউন সত্ত্বেও জনজীবন কার্যত স্বাভাবিক রয়েছে। যদি প্রকাশ্যে স্থানে মাস্ক পরা নিয়ে পুলিশ কড়াকড়ি করছে। রাজধানীতে যানবাহন চলাচলও স্বাভাবিক পর্যায়েই রয়েছে। তবে গত শনিবার পর্যন্ত দূরপাল্লার বাস চলাচল করেনি। 
এরইমধ্যে এদিনের পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী, বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১২,৩৭৬। স্বাস্থ্য বিভাগকে উল্লেখ করে সে দেশের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বাংলাদেশে নতুন করে ১,৩৫৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭,৮৯,০৮০।
উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনার সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।