কলকাতা: পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। মৌসম ভবন জানিয়েছে, শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর বুধবার সন্ধেয় তা পারাদ্বীপ ও সাগর দ্বীপের মধ্যে দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সময় ৬ মিটার অর্থাৎ ২০ ফুট পর্যন্ত সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামীকাল, সোমবার থেকে শুরু বৃষ্টি। প্রবল বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।  তার আগে আজ দুপুরের পর কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও।


এদিন মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে বিবৃতি জানানো হয়েছে, ক্রমেই উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে এই ঘূর্ণিঝড়। ২৬ মে ওড়িশার পারাদ্বীপ এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করবে। ২৬ মে সন্ধে নাগাদ ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। উপকূলবর্তী এলাকা সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪  পরগনা, হাওড়া, হুগলিতে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, নদীয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমান, পুরুলিয়া, বীরভূমেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 


এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারতীয় নৌবাহিনী। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪টি ডাইভিং টিম-সহ ৮টি উদ্ধারকারী দলকে। ওষুধ, চিকিত্সা সরঞ্জাম, খাবার ও প্রয়োজনীয় রসদ নিয়ে প্রস্তুত নৌবাহিনীর ৪টি জাহাজ। দ্রুত উদ্ধারের জন্য প্রস্তুত নৌবাহিনীর ৪টি বিমান। বিশাখাপত্তনমে আইএনএস ডেগা ও চেন্নাইয়ের কাছে আইএনএস রাজালি থেকে আকাশপথে নজরদারি চালিয়ে দুর্গত এলাকায় গিয়ে উদ্ধার ও ত্রাণ সামগ্রী ফেলার কাজ চালানো হবে। ঘূর্ণিঝড়ের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুত সেনাবাহিনী। ওড়িশা উপকূলে মোতায়েন করা হয়েছে ২ কলাম সেনা ও ইঞ্জিনিয়ার টাস্ক ফোর্সের ২টি দল। ৮ কলাম সেনা ও ইঞ্জিনিয়ার টাস্ক ফোর্সের একটি দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বাংলার জন্য। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধার ও ত্রাণকাজে সাহায্যকারী দল হিসেবে দুই রাজ্যে এদের মোতায়েন করা হয়েছে।