ঢাকা: কোয়াড জোটে যোগ দেওয়া নিয়ে বাংলাদেশকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল চিন। এবার পাল্টা বেজিংকে চাঁচাছোলো উত্তর দিল ঢাকা। যার জেরে কোভিডকালে প্রতিবেশী দেশের থেকে বড় ধাক্কা খেল চিন।


আমেরিকার নেতৃত্বাধীন কোয়াড জোটে যোগ দিলে যথেষ্ট ক্ষতি হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। 'অ্যান্টি বেজিং ক্লাবে' বাংলাদেশের যোগ দেওয়ার বিষয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল চিন। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। ভার্চুয়াল মিটিংয়ে তিনি বলেন, ''চারজনের ছোট ক্লাবে যোগ দেওয়াটা বাংলাদেশের পক্ষে ঠিক সিদ্ধান্ত নয়। এটা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যথেষ্ট ক্ষতি করবে।''


চিনের রাষ্ট্রদূতের এই বিতর্কিত মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি করেনি ঢাকা। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, ''আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের নিজস্ব বিদেশ নীতি আমরা নিজেরাই তৈরি করি। তবে এটা ঠিক, যে কোনও দেশ তার নিজস্ব মতামত রাখতে পারে।'' এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী। চিনের হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত কোয়াড জোটের তরফে তাদের কোনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।


২০০৭ সালে 'কোয়ড্রিল্যাটেরাল সিকিউরিটি ডায়ালগ' বা কোয়াড-এর উৎপত্তি। ভারত, আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এই চার দেশ মিলে তৈরি হয় কোয়াড। যেখানে বাংলাদেশের যোগ দেওয়া নিয়ে আগেভাগেই আপত্তি তুলছে চিন। বাংলাদেশে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, ''কোয়াড দাবি করে তারা অর্থনৈতিক কারণের জন্যই একত্রিত হয়েছে। এছাড়াও নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করবে এই চার দেশ। যদিও কোয়াডের এই দাবি ঠিক নয়। আমরা জানি, চিনকে নিশানা করেই কোয়াড তৈরি হয়েছে। জাপান ইতিমধ্যেই বলেছে, কেবল চিনের কারণে আমেরিকার সঙ্গে একত্রিত হয়েছে তারা।'' 


বাংলাদশের বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, কোভিড নিয়ে চিন্তায় রয়েছে হাসিনার সরকার। ইতিমধ্যেই দেশবাসীকে টিকা দিতে চিনের ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে ঢাকা। এ ছাড়াও স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন পেতে রাশিয়ার সঙ্গেও আলোচনা চালাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।