কাবুল: করোনার ধাক্কায় মাঝপথে স্থগিত করে দিতে হয়েছে আইপিএল। ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে গিয়েছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের আফগান লেগস্পিনার রশিদ খান। তবে দীর্ঘদিন পরে দেশে ফিরেও মন ভাল নেই রশিদের।


না, আইপিএল বন্ধ হয়ে যাওয়া রশিদের বিষণ্ণতার কারণ নয়। তিনি উৎকণ্ঠায় যুদ্ধে মানুষের প্রাণহানি দেখে। করোনায় জেরবার গোটা বিশ্ব। অতিমারির তাণ্ডবে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। অসহায় অবস্থা গোটা মানব জাতির। সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আবেদন করা হচ্ছে সমাজের সর্বস্তর থেকে। তবে এই পরিস্থিতির মাঝেও এক শ্রেণির মানুষ যুদ্ধে মেতে। প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস রকেট হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েলের গাজ়ায়। ভয়ঙ্কর রকেট হানায় এখনও পর্যন্ত ৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সৌম্যা সন্তোষ নামের একজন ভারতীয় মহিলাও এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি কেরলের বাসিন্দা ছিলেন। সাত বছর ধরে ইজরায়েলে থাকতেন। স্বামীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার সময় তাঁর বাড়িতে রকেট এসে সব ছিন্নভিন্ন করে দেয়। এই রকেট হানায় প্রাণ হারিয়েছে বেশ কিছু শিশুও।


জানা গিয়েছে, ইজ়রায়েলি বায়ুসেনার বিমান হানার প্রতিশোধ নিতে রকেট হামলা চালিয়েছে প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। যদিও এই হামলার তীব্র নিন্দা চলছে বিশ্বজুড়ে। প্রাণ হারিয়েছেন বহু নিরীহ মানুষ। প্রাণহানির যে ছবি দেখে শিহরিত রশিদ। তাঁকে বিশেষ করে নাড়া দিয়েছে শিশুমৃত্যুর ঘটনা। ট্যুইট করে রশিদ লিখেছেন, 'ক্রিকেটার হিসাবে সারা বিশ্বে খেলে বেড়াই আমি। এই পৃথিবীকে যুদ্ধ, রক্তক্ষয় ছাড়া দেখতে চাই। আফগানিস্তান ও প্যালেস্তাইনে সাধারণ মানুষের মৃত্যু আমি আর দেখতে পারছি না। শিশুহত্যার থেকে জঘন্য অপরাধ আর হয় না। আমি চাই, এই পৃথিবীতে শিশুরা পাখির ডাক শুনে ঘুম থেকে জেগে উঠুক, বোমার আওয়াজে নয়।'



এমনিতেই যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে জনজীবন বিপর্যস্ত। এমন একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকেই রশিদ খানের উত্থান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন তিনি প্রতিষ্ঠিত। আইপিএলের তারকা। টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার। আফগানিস্তানের মানুষের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন রশিদ খান, মহম্মদ নবিরা। তাঁদের দলের খেলা দেখে যুদ্ধের ভয়াবহতা সাময়িক হলেও ভুলে থাকতে পারেন আফগানিস্তানের বহু মানুষ। তবে যুদ্ধের আংচ না কমায় মর্মাহত রশিদ।