কলকাতা : এ যেন মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। নৈরাজ্যের দেশ বাংলা দেশ। ২০২৪ এর অগাস্টে হাসিনা সরকারের পতনের পর বেনজির বিশৃঙ্খলা দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশে। বেনজির আক্রমণের শিকার হয়েছিল আওয়ামি লিগের সমর্থক থেকে সংখ্যালঘুরা।  আগুন নিভতে সময় লেগে গিয়েছিল বেশ কয়েক মাস। আবারও একইরকম উত্তেজনা ছড়াল পদ্মাপারে। এবার ভয়ঙ্কর ভাবে মারা হল হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক কারখানার মজুরকে। খুন হয়ে গেলেন এক সাংবাদিকও। 

Continues below advertisement

বৃহস্পতিবার রাত থেকেই আগুন জ্বলছিল বাংলাদেশ জুড়ে। পাথর , আগুন নিয়ে দুই  সংবাদমাধ্যমের দফতরে চড়াও হন দুষ্কৃতীরা।  হামলার পর এবার খুন হলেন এক সাংবাদিক। বাংলাদেশের খুলনায় গুলি করে হত্যা করা হয় এক সাংবাদিককে। নিহতের নাম ইমদাদ উল হক মিলন। শ্যুটআউটের ঘটনায় আহত হন আরও একজন। আহতের নাম দেবাশিস। পেশায় হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে এই শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে।  ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর উত্তাল বাংলাদেশ। জানা গিয়েছে মৃত সাংবাদিক ওই জনরোষেরই শিকার।  জানা গিয়েছে ‘বর্তমান সময়’ নামে এক পত্রিকায় কাজ করতেন ইমদাদুল । তিনি সেখানকার এক  প্রেস ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। 

গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদির মৃত্যু ঘিরে অশান্তির আগুনে পুড়ে ছাই বাংলাদেশের বহুল প্রচলিত একাধিক সংবাদমাধ্যমের অফিস। । গভীর রাতে বাংলাদেশের সংবাদপত্র ডেইলি স্টারের অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।  ভাঙচুর চালানো হয় । তারপর আগুন ধরানো হয় সংবাদপত্র প্রথম আলোর দফতরেও। হাড়হিম করা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় সাংবাদিকদের। অবশেষে রাত ২টো নাগাদ আসে দমকল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় সেনাবাহিনী। ক্রেনে করে সাংবাদিকদের উদ্বার করা হয়। কার্যত মৃত্যুর মুখ থেকে রক্ষা পান তাঁরা। এই অশান্তির আবহেই এক সাংবাদিককে নির্মম ভাবে হত্যা করা হল। 

Continues below advertisement

এদিকে বাংলাদেশের ময়মনসিংহে হিন্দু যুবককে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল উত্তেজিত জনতার বিরুদ্ধে। নাম দীপুচাঁদ দাস। সূত্রের খবর, পেশায় কারখানার শ্রমিক ছিলেন তিনি। প্রথমে বেধড়ক মারধর ও পরবর্তীতে তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। দেশবাসীকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্টায় সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার।

 এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, 'বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাকে ঘিরে চরমপন্থীদের ভুয়ো দাবি প্রত্যাখান করে ভারত। এটা খুবই দুঃখের বিষয় যে এ নিয়ে এখনও কোনও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এমনকী ভারতের সঙ্গে এই সংক্রান্ত কোনও তথ্যপ্রমাণও ভাগ করে নেয়নি বাংলাদেশ।'