আমদাবাদ: অভাবনীয় পরিস্থিতিতে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বাতিল হয়েছিল। ঝড়, বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, বরং বায়ুদূষণের জেরে ঘন কুয়াশায় বাতিল হয়ে গিয়েছিল ম্যাচ। আমদাবাদেও কি এমন কিছু হতে পারে?
আজ আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামেই ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্য়াচ আয়োজিত হতে চলেছে। লখনউয়ের মতো আমদাবাদের বাতাস নিয়েও তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। আমদাবাদের বায়ুদূষণ ঠিক কতটা গুরুতর? AQI লেভেলই বা কত? aqi.in অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ আমদাবাদের AQI ১৬২। এটি 'Unhealthy' বিভাগেই পরে।
তাহলে কি চতুর্থ ম্যাচের মতো পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্য়াচও ভেস্তে যাবে? সমর্থকদের জন্য সুখবর। আমদাবাদের বাতাসের গুণমান সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উন্নত হওয়ার কথা। iqair.com-র পূর্বাভাস অনুযায়ী টসের সময় অর্থাৎ সন্ধে ৬.৩০টা নাগাদ আমদাবাদের AQI কমে ১১৪ হবে। এটাও 'Unhealthy' বিভাগে পড়লেও, এতে ম্যাচ বন্ধ বা লখনউয়ের মতো দৃশ্যমানতায় প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা কম।
বায়ুদূষণের পাশাপাশি এই ম্যাচ বৃষ্টিতেও স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। AccuWeather-র পূর্বাভাস অনুযায়ী গোটা সন্ধেতে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম বা তার আশেপাশে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আপাতত ভারতীয় দল পাঁচ ম্যাচের সিরিজ়ে ২-১ এগিয়ে রয়েছে। আজকের ম্যাচের মাধ্যমেই সিরিজ়ের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। এই ম্যাচের জন্য গোটা ভারতীয় দলই আমদাবাদে পৌঁছে গিয়েছে। পৌঁছে গিয়েছেন শুভমন গিলও। তবে তিনি খেলবেন কি না, সেই নিয়ে কিন্তু যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
লখনউয়ে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ঘন কুয়াশার কারণে বাতিল হয়ে যায়। সেই ম্যাচ হলে শুভমন গিলকে হয়তো মাঠে নামতে দেখা যেত না। শোনা যাচ্ছিল পায়ের পাতায় চোট পেয়েছেন শুভমন। সেই কারণে মাঠের বাইরে চলে যেতে হতে পারে শুভমনকে। PTI-র রিপোর্টেই দাবি করা হয় শুভমন আর গোটা সিরিজ়েই খেলতে পারবেন না। তবে জল্পনা সত্ত্বেও ভারতীয় বোর্ডের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
রিপোর্ট সঠিক হলে এই নিয়ে চলতি সিরিজ়ে দ্বিতীয়বার চোটের কবলে পড়বেন গিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের সময় চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিলেন তিনি। ইডেন টেস্টের সময়ই যাঁর ঘাড়ের পেশিতে চোট লেগেছিল। স্টিফ নেকের সমস্যা নিয়ে যিনি প্রথম টেস্টে ব্যাট করতে নেমেছিলেন। কিন্তু সাইমন হার্মারের বলে স্যুইপ শটে বাউন্ডারি মারার পরই যন্ত্রণায় ছটফট করে ওঠেন। সেদিন স্ট্রেচারে চাপিয়ে মাঠ থেকে বার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গিলকে। সেইবারও গিল দলের সঙ্গে পরের টেস্টের আগে গুয়াহাটি গিয়েছিলেন। তবে ম্যাচ খেলেননি তিনি। আমদাবাদে কী হয় এবার সেটাই দেখার বিষয়।