ঢাকা: কোটা বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ শরিফ উসমান হাদি খুনে বৃহস্পতিবার রাত থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাংলাদেশ (Bangladesh News)। গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদির মৃত্যু ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের অফিসেও হামলাও হয়। বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, উত্তাল বাংলাদেশে ফের মধ্যযুগীয় বর্বরতা! 

Continues below advertisement

বাংলাদেশের ময়মনসিংহে হিন্দু যুবককে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উত্তেজিত জনতার বিরুদ্ধে। নাম দীপুচাঁদ দাস। সূত্রের খবর, পেশায় কারখানার শ্রমিক ছিলেন তিনি। প্রথমে বেধড়ক মারধর ও পরবর্তীতে তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। দীপু চন্দ্র দাস নামে ওই যুবক ভালুকা উপজেলার দুবালিয়া পাড়া এলাকায় ভাড়াটে হিসেবে থাকতেন। পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের একটি দল তাকে মহম্মদ সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে রাত ৯টার দিকে আক্রমণ করে।

উত্তেজিত জনতা দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা করে, তার দেহ গাছের সঙ্গে বেঁধে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে যে তারা নিহতের পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে এবং আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়েরের পর আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে।

Continues below advertisement

ভারতবিদ্বেষী বিক্ষোভে উত্তাল বাংলাদেশ। খুলনা ও রাজশাহীতে ভারতের ভিসা আবেদন কেন্দ্র বন্ধ করে দিল ভারত। নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন ঢাকায় কর্মরত ভারতীয় হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা। যদিও, খুলে দেওয়া হয়েছে ঢাকার ভিসা আবেদন কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ, ভারতীয় অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনের উদ্দেশে রাজশাহীতে মিছিলে নামে 'ভারত-বিদ্বেষী' সংগঠন 'জুলাই ৩৬ মঞ্চ'। রাজশাহীর ভদ্রা মোড় থেকে মিছিল শুরু হলে, কিছুদূর এগোতে না এগোতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়ে মিছিল (Bangladesh Protest)। প্রায় ১০০ মিটার পথ আগেই মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। সেখানেই অবস্থানে বসে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। খুলনাতেও একই ভাবে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।

এর আগে বুধবার, ঢাকার গুলশনে ভারতীয় হাই কমিশনের উদ্দেশে, মিছিল করে বিক্ষোভকারীরা। শেখ হাসিনা সহ আওয়ামি লিগের নেতাদের বাংলাদেশে ফেরত আনার দাবিতে মিছিল শুরু হলে, সেখানেও পুলিশ বাধা দেয়। এই বিক্ষোভের ঠিক আগে ভারতীয় কূটনীতিবিদদের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়া হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে দিল্লিতে তলব করে ভারত। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন ঘিরে নিরাপত্তাহীনতা ও চরমপন্থীদের কর্মকাণ্ড নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা তাঁকে জানানো হয়।