কলকাতা : বাংলাদেশের ( Bangladesh Protest ) আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ। দেশ ছেড়েছেন হাসিনা ( Sheikh Hasina ) । বাংলাদেশের ক্ষমতার রাশ এখন সেনাপ্রধানের হাতে।  এই পরিপ্রেক্ষিতে ভারত-বাংলাদেশ ( Bharat - Bangladesh ) সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করল বিএসএফ।  সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছে এএনআই।  বিএসএফের ডিজিও কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন বিএসএফের এক সিনিয়র অফিসার। 


পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশের এক্কেবারে কাছাকাছি রয়েছে। এই রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের নদী-সীমান্তও রয়েছে। তাই যাতে সেখান দিয়ে কোনওরকম ভাবেই অশান্তি না ছড়ায়, তাই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিএসএফকে সতর্ক করা হয়েছে। যাতে কোনও গণ্ডগোলের পরিস্থিতি তৈরি না হয়।  


আইএএনএস সূত্রে খবর, ভারত-বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে যাওয়া লরি চালকদের ভারতে ফিরিয়ে এনেছে বিএসএফ । পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে ৫০০ মিটার দূরেই সবাইকে থামানো হচ্ছে এবং বিএসএফ রয়েছে সতর্ক। 


আগেই  ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে ভারতীয়দের সাবধান করা হয়েছিল। এখনই যেন ভারতের কোনও নাগরিক বাংলাদেশে না যায়, তার জন্য় নির্দেশ জারি করা হয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে।  যে ভারতীয় নাগরিকরা এখন বাংলাদেশে রয়েছেন, তাঁদের অতি সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে। ভারতীয়দেক বাড়ির বাইরে বেরতে বারণ করা হয়েছে। 


সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে দেশ। সেখানে থাকা ভারতীয়দেরও হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 


বাংলাদেশে তুমুল অশান্তির মধ্যেই দেশ ছেড়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ ছাড়ার পরেই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।  দুপুর দেড়টার সময় সেনার তরফে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। দুপুর আড়াইটের সময় পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন হাসিনা। তারপরই বিমানে রওনা দেন তিনি। প্রথমে জল্পনা ছিল তিনি ভারতে আসছেন। কিন্তু ভারতে কোথায় ? আদৌ কি ভারতেই নামবেন হাসিনা ? সেদিকে নজর সারা বিশ্বের। 


বাংলাদেশের দৈনিক প্রথম আলো সূত্রে খবর ছিল, ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তারপর  জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান। তিনি বলেন, আপাতত দায়িত্ব হাতে নিচ্ছেন তারা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। প্রথম আলো অনুসারে, জনগণের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, ‘দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখেন। আপনারা আমার ওপর আস্থা রাখেন, একসাথে কাজ করি। দয়া করে সাহায্য করেন। মারামারি সংঘাত করে আর কিছু পাব না। সংঘাত থেকে বিরত হোন। সবাই মিলে সুন্দর দেশ গড়েছি।’


 অন্যদিকে বাংলাদেশে অশান্তি এখনও প্রশমিত হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়া চালু হয়েছে, ইন্টারনেট চালু হয়েছে, কিন্তু পরিবেশ শান্ত হয়নি। ভাঙা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমনের মূর্তি। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের গেট ভেঙে দখল করে নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। 
ধানমন্ডিতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। সেই বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে।  


আরও পড়ুন :


বঙ্গবন্ধুর মূর্তিতে হাতুড়ির ঘা, হাসিনা দেশ ছাড়ার পরই ভাঙা শুরু মুজিবরের মূর্তি