কলকাতা : ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য। সাধারণ নির্বাচনের আগে ফের একবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হল পদ্মাপাড়ের দেশে ! আরও একবার আক্রান্ত হল সেদেশের সংখ্যালঘুরা ! ময়মনসিংহে দীপুচাঁদ দাস নামে এক হিন্দু যুবককে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল ! উঠল ভারত বিরোধী স্লোগান ! একাধিক জায়গায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে চলল বিক্ষোভ-পাথরবৃষ্টি! আর এই পরিস্থিতিতেই ভারতের মাটিতে গর্জে উঠল বাংলাদেশের এই কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠদের মিছিল।
বাংলাদেশের তীব্র ভারত বিদ্বেষ ও ঘৃণার উত্তর দিতে ত্রিপুরার আগরতলায়, বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশনের কার্যালয়ের উদ্দেশে মিছিলমিছিল করল তিপ্রামোথা যুব সংগঠন YTF। মিছিল করতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পরে তিপ্রামোথা নেতা-নেত্রী ও সমর্থকেরা। শান্তি বজায় রাখতে বাংলাদেশের ওই কার্যালয়ের ২০০ মিটার আগেই ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। সেখানেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তিপ্রামোথা নেতা-নেত্রীরা।
এর আগে বুধবার, ঢাকার গুলশনে ভারতীয় হাই কমিশনের উদ্দেশে, মিছিল করে বিক্ষোভকারীরা। শেখ হাসিনা সহ আওয়ামি লিগের নেতাদের বাংলাদেশে ফেরত আনার দাবিতে মিছিল শুরু হলে, সেখানেও পুলিশ বাধা দেয়। এই বিক্ষোভের ঠিক আগে ভারতীয় কূটনীতিবিদদের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়া হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে দিল্লিতে তলব করে ভারত। কিন্তু বাংলাদেশে ভারত বিদ্বেষ ও ভারতীয় দূতাবাস লক্ষ করে হিংসা ছড়ানোর প্রবণতা কমেনি। এমত পরিস্থিতিতে , খুলনা ও রাজশাহীতে ভারতের ভিসা আবেদন কেন্দ্র বন্ধ করে দিল ভারত। নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন ঢাকায় কর্মরত ভারতীয় হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা। যদিও, খুলে দেওয়া হয়েছে ঢাকার ভিসা আবেদন কেন্দ্র।
বাংলাদেশে নতুন করে এই পরিস্থিতি তৈরির কারণ হল কোটা বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ শরিফ ওসমান হাদি খুনের ঘটনা । এই ঘটনায় একদিকে যেমন কট্টরপন্থীরা ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছে আওয়ামী লিগের সমর্থকদের উপর , অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভারত বিদ্বেষ। গত শুক্রবার, বাংলাদেশের বিজয়নগরে প্রচার চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হন। রিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেইসময় মোটরবাইকে করে এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীকালে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার মারা যান ওসমান হাদি। এই ঘটনার পরই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে।