ত্রিপুরা: পুরভোটের আগে ফের উত্তপ্ত ত্রিপুরা (Tripura)। আগরতলা পুরসভার (Agartala Municipality) ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির (BJP) পতাকা-ফেস্টুন ছেঁড়ার অভিযোগ উঠল বিরোধীদের বিরুদ্ধে। বিজেপির বিক্ষুব্ধরাই প্রচার নষ্ট করছেন, এটা গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীকোন্দল, দাবি তৃণমূলের (tmc)। উল্টে ঘাসফুল শিবিরের দাবি, ত্রিপুরা সরকারের (Tripura Govenment) স্টিকার লাগানো গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাদের পতাকা, ফেস্টুন। ভিডিও প্রকাশ্যে এনে দাবি তৃণমূলের। এবিপি আনন্দ ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি। 




গতকাল আগরতলা পুরনিগম (Agartala) দখলের লক্ষ্যে ইস্তেহার প্রকাশ করে তৃণমূল (TMC)। জলকরে ছাড়, খান-খন্দহীন রাস্তা, মহিলাদের জন্য সুরক্ষা-সহ ৯ টি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। উন্নত নগর, জন অভিযোগ নিষ্পত্তির আশ্বাসও রয়েছে ইস্তেহারে। যা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি (bjp)।


আগরতলা পুরনিগমের ভোটে তৃণমূলের স্লোগান - আগরতলার জন্য ‘নবরত্ন’। ২০২৩-এ তৃণমূলের টার্গেট বিজেপিশাসিত ত্রিপুরা। বিধানসভা নির্বাচনের বছর দেড়েক আগে, ত্রিপুরার পুরভোটে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল।  ২৫ নভেম্বর আগরতলা পুরনিগম, ১৩টি পুরসভা ও ৬টি নগর পঞ্চায়েতে ভোটে।


আগরতলা পুরনিগমকে পাখির চোখ করে, মঙ্গলবার ইস্তেহার প্রকাশ করল তৃণমূল। আগরতলার জন্য ‘নবরত্ন’ ইস্তেহারে যে ৯টি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল...



  • খানা-খন্দহীন আগরতলা তৈরি করা। 

  • বাতিল করা হবে জলের উপর সব ধরনের কর।

  • মহিলাদের জন্য হবে সুরক্ষিত পরিবহণ ব্যবস্থা।

  • সকলের জন্য থাকবে ফ্রি ওয়াই-ফাই।

  • আলোকোজ্বল হবে আগরতলা-সহ।



আগরতলা পুরনিগমের ভোটে তৃণমূলের স্লোগান - আগরতলার জন্য ‘নবরত্ন’। ২০২৩-এ তৃণমূলের টার্গেট বিজেপিশাসিত ত্রিপুরা। বিধানসভা নির্বাচনের বছর দেড়েক আগে, ত্রিপুরার পুরভোটে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল।  ২৫ নভেম্বর আগরতলা পুরনিগম, ১৩টি পুরসভা ও ৬টি নগর পঞ্চায়েতে ভোটে।



আগরতলা পুরনিগমকে পাখির চোখ করে, মঙ্গলবার ইস্তেহার প্রকাশ করল তৃণমূল। আগরতলার জন্য ‘নবরত্ন’ ইস্তেহারে যে ৯টি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল...


খানা-খন্দহীন আগরতলা তৈরি করা। 
বাতিল করা হবে জলের উপর সব ধরনের কর।
মহিলাদের জন্য হবে সুরক্ষিত পরিবহণ ব্যবস্থা।
সকলের জন্য থাকবে ফ্রি ওয়াই-ফাই।
আলোকোজ্বল হবে আগরতলা-সহ 



তৃণমূলের ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে,  কলকাতা পুরসভার ধাঁচে আগরতলাতেও সরাসরি মেয়রের সঙ্গে কথা বলা যাবে।  পুরসভায় চাকরির ক্ষেত্রে ভূমিপুত্রদের অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে তৃণমূলের ইস্তেহারে।



আগরতলা পুরনিগমের জন্য ইতিমধ্যেই ইস্তেহার প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। বিজেপি তাদের পরিকল্পনার কথা লিফলেটের মাধ্যমে প্রচার করছে। তৃণমূলের এই ইস্তাহার নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। ২০১৫ সালের পুরভোটে আগরতলা পুরনিগমের ৪৯টি ওয়ার্ডে নির্বাচন হয়। ৪৫টি আসনে জিতে বোর্ড গড়ে বামেরা। কংগ্রেসের দখলে যায় ৪টি। ডিলিমিটেশনের পর আগরতলা পুরনিগমের আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫১। 


পুরভোটের আগেই ত্রিপুরায় এক তৃতীয়াংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেছে বিজেপি। তবে আগরতলা পুরনিগমের সব আসনেই হবে লড়াই।