গালওয়ানের ঘটনার পর বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক চেয়ে ভারতের কাছে আবেদন করেছিল চিনই

দু দেশই আলোচনাকে ইতিবাচক করার জন্য এমন প্রতিনিধিদেরই বসিয়েছিল, যাঁরা এর আগে আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধানসূত্র তৈরি করতে পেরেছিলেন। ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে দোভাল এবং ওয়াং-ই সীমান্ত সংক্রান্ত আলোচনায় বসে বেশ কয়েকটি বিষয়ে ঐক্যমত্য গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন।

Continues below advertisement
নয়াদিল্লি:গালওয়ান উপত্যকায় উত্তেজনা নিরসনের জন্য বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনা চেয়েছিল চিন। বেজিংই এমন আলোচনা চেয়ে আবেদন করেছিল। সেটাই সম্পন্ন হল সম্প্রতি। আর এই বৈঠকের পরই দুই দেশের সেনা নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ধীরে ধীরে পিছিয়ে আসতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে কূটনৈতিক পর্যায়ে তো বটেই সেনাবাহিনী পর্যায়েও তৎপরতা শুরু হয়েছে। ইন্দো-চায়না বর্ডার অ্যাফেয়ার্স কমিটিকেও পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য বিশেষ ভূমিকা প্রদান করা হয়েছে। বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকে ভারত ও চিনের তরফের প্রতিনিধি ছিলেন যথাক্রমে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং উই। বৈঠকের পর চিনা বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে দু পক্ষই খুব পরিস্কারভাবে নিজেদের বক্তব্য পেশ করেছে এবং সীমান্তে শান্তি আনার জন্য কয়েক ধাপ এগোনো গিয়েছে। আলোচনা যথেষ্ট ইতিবাচক হয়েছে। দু পক্ষই সময় দিয়ে পরস্পরের অবস্থান বোঝার চেষ্টা করেছে। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, দু দেশই আলোচনাকে ইতিবাচক করার জন্য এমন প্রতিনিধিদেরই বসিয়েছিল, যাঁরা এর আগে আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধানসূত্র তৈরি করতে পেরেছিলেন। ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে দোভাল এবং ওয়াং-ই সীমান্ত সংক্রান্ত আলোচনায় বসে বেশ কয়েকটি বিষয়ে ঐক্যমত্য গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে অরুণাচল প্রদেশের ডোকলাম গ্রামের সীমান্ত নিয়ে সমস্যা নিরসনের জন্য ওয়াং যে অবস্থান নেন তাতে চিন তাঁকে আলাদা গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে শুরু করে। সেজন্যই বিদেশমন্ত্রকের পাশাপাশি নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্বও তাঁর উপর ন্যস্ত হয়। ওদিকে পূর্বতন বৈঠকগুলির জন্য নিজের দেশে আলাদা জায়গা অর্জন করেছেন দোভালও। সে কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বেছে নেওয়া হয় তাঁকে।
Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola