কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান : বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে নামল তিন সদস্যের ফরেনসিক দল। ঘটনাস্থল থেকে তারা নমুনা সংগ্রহ করেছে। এদিকে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা শুরু করল বর্ধমান থানার পুলিশ।
বুধবার রাতে কলেজের তিন নম্বর হস্টেলের পেছন থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শেখ মোবারক হোসেন নামে এক জুনিয়র ডাক্তারকে। রাত আড়াইটে নাগাদ কলেজের ৩ নম্বর বয়েজ হস্টেলের পেছন থেকে ওই জুনিয়র চিকিৎসককে রক্তাক্ত, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয় ওই ডাক্তারের। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটে। বর্ধমান মেডিকেলে সার্জারি বিভাগের হাউস স্টাফ ছিলেন তিনি। তাঁর বাবা শেখ হাফিজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে।
এদিকে ওপর থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা নাকি মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে বর্ধমান থানার পুলিশ। এদিন ফরেনসিক দল সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে। খড় দিয়ে জুনিয়র ডাক্তারের একটি ড্যামি তৈরি করা হয়। উপর থেকে সেটি নিচে ফেলে দেখা হয়। ওই জুনিয়র ডাক্তারের বাবার সাথেও কথা বলেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। দেখা হয় তাঁর ঘরটিও। সহপাঠী শাহ আলম জানান, তাঁকে নিচে পড়ে থাকতে দেখেছিলেন। এদিন বিশেষজ্ঞ দল তাঁর সাথেও কথা বলেন।
ফরেনসিক দলের সদস্য চিত্রাক্ষ সরকার বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেখে তাঁর পর পরিষ্কার চিত্র উঠে আসবে। এখন কিছু বলার মতো পরিস্থিতি নেই। এই বিষয় নিয়ে আরও পরীক্ষা বাকি আছে বলে তিনি জানান।
বুধবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল সুহৃতা পাল জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে হস্টেল থেকে পড়ে আহত হন জুনিয়র ডাক্তার শেখ মোবারক হোসেন। পড়ার শব্দ শুনে বাকি ছাত্ররা ছুটে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
এদিন ফরেনসিক দলের সাথে বর্ধমান থানার আইসি সহ ছিল পুলিশ বাহিনী।