কলকাতা: কোচবিহারের পর এবার নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগের ঘটনা খতিয়ে দেখবেন রাজ্যপাল। বিএসএফের কপ্টারে কাল সকালে নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন রাজ্যপাল।নন্দীগ্রাম বাজারে, বঙ্কিম মোড়, কেন্দামারিতে যাবেন রাজ্যপাল।এলাকা পরিদর্শনের পর জানকীনাথ মন্দির যাবেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছ বিজেপি। পাল্টা রাজ্যপালকে নিশানা করেছে তৃণমূল। শাসক দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারি অর্থে রাজ্যে উস্কানি ছড়াচ্ছেন রাজ্যপাল। দেশের কোনও রাজ্যপাল এমন করেননি। সাংবিধানিক রীতিনীতি ভঙ্গ করছেন। বিজেপির এজেন্ট হয়ে নেমেছেন।
অন্যদিকে, বিজেপি বলেছে, সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা পালন করছেন রাজ্যপাল।
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে জয়ী হয়েছেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন। ভোটের পর নন্দীগ্রামে অশান্তির অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কোচবিহারের পর এবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন রাজ্যপাল।
গতকাল কোচবিহারে গিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগেছিলেন রাজ্যপাল ধনকড়। রাজনৈতিক অশান্তির জন্য রাজ্যের শাসক দলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন তিনি। পাল্টা রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সবমিলিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত নয়া মাত্রা পেয়েছে।
কোচবিহারে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের অনেকে পাশের রাজ্য অসমে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ। শুক্রবার তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে অসমের রাঙ্গাপোলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিবিরে যান জগদীপ ধনকড়। এদিনও তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। এরপরই ট্যুইটারে রাজ্যপাল লেখেন, কোচবিহারে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার কারও কাছ থেকে সাড়া পাইনি, যেটা আইপিএস কিংবা আইপিএস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের থেকে আশা করা যায় না। অথচ, অসমের রাঙ্গাপোলিতে প্রোটোকল মেনে, ডিভিশনাল কমিশনার, স্পেশাল ডিজিপি, ডিএম এবং পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন। পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, রাজ্যপাল তাঁর পদের অমার্যাদা করছেন। তিনি নাটক করে উস্কানি দিচ্ছেন।