কলকাতা: কাজ করতেন ওড়িশার জলেশ্বরে ঠিকা শ্রমিকের। কিন্তু আদতে বীরভূমে বাড়ি বলে দাবি করলেন ওঁরা। মাইল মাইল পথ পেরিয়ে পুলিশের চোখ এড়িয়ে আন্তঃরাজ্য সীমানা পার করেও ফেলেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরা পড়তেই হল। ওড়িশা থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে এসে, পুলিশের হাতে আটক ১০ জন শ্রমিক।
তাঁদের দাবি, বাড়ি বীরভূমে। লকডাউনের পরই বাড়ি চলে যাওয়ার হুকুম দেন মালিক। বারবার চাপও আসছিল বলে দাবি। শেষমেষ তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এদিকে ট্রেন-বাস নেই। তাই হাঁটা শুরু সোমবার রাতে। পুলিশের চোখ এড়াতে গভীর রাতেই রাজ্যের সীমানা পার করেন তাঁরা। তারপর ষাট নম্বর জাতীয় সড়ক। খড়গপুর পৌঁছে গাড়িতে বীরভূম যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু, তার আগেই মঙ্গলবার সকালে পুলিশ শ্রমিকদের আটকায়।
শেখ সেলিম নামে এক শ্রমিকের দাবি, ‘ঠিকাদার ফোন ধরছিলেন না, টাকাও ফুরিয়ে আসছিল, তাই হেঁটেই বাড়ি যাচ্ছিলাম।’
এরপর পুলিশ তাঁদের দাঁতনের বীরভদ্রপুর হাইস্কুলে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় ১৮টি রাজ্যকে চিঠি লিখে লকডাউনের মাঝে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া বাংলার শ্রমিকদের দেখভালের যে আবেদন করেছিলেন তাতে সাড়া দিয়েছে ছত্তিশগড়। কেরলে কর্মরত বাংলার ২২ জন নির্মাণ শ্রমিক রাজ্যে ফিরতে দিয়ে রায়পুরে এসে আটকে পড়েন। খবর পেয়ে ২২ জন শ্রমিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করে রায়পুরের বাঙালি কালিবাড়ি সমিতি। সংস্থার অন্যতম সম্পাদক অরুন ভদ্র জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে শ্রমিকদের শারীরিক পরিস্থিতি নজরে রাখছে মেডিক্যাল টিম। সমিতির বিবেকানন্দ হলে নিরাপদ দূরত্ব মেনে থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।