নয়া দিল্লি : রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস তদন্তের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে দিল্লিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসছে সিবিআই।  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, গত ১১ দিনে রাজ্যে কী তদন্ত হয়েছে। কোন মামলার কী অবস্থা? কটি চার্জশিট দাখিল হয়েছে, ক’জন গ্রেফতার হয়েছেন, এ সব তথ্য নিয়ে দিল্লিতে তলব করা হয় সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিংকে। তিনি কলকাতা থেকে দিল্লি গেছেন। সিবিআইয়ের সদর দফতরে ওই বৈঠক হবে। সূত্রের খবর, রাজ্যের কোথাও কাজ করতে অসুবিধা হয়েছে কি না, তাও লিখিতভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে অখিলেশের থেকে। 


গতকালই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তে তল্লাশির নাম অভিযুক্তের বাড়ি তছনছ করার অভিযোগ ওঠে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে। গত ৩ মে, ভোটের ফল ঘোষণার পর দিন কোচবিহারের দিনহাটা থানার পেটলা রাজাখোরা গ্রামে বিজেপি কর্মী হারাধন রায়কে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের নাম জড়ায় সেই ঘটনায়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশ ও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার নেয় সিবিআই। তৃতীয়বারের জন্য তদন্তকারীরা যান রাজাখোরা গ্রামে। সেখানে তদন্তে যাওয়া CBI অফিসারদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলেন অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা। অভিযুক্তর পরিবারের সদস্য মৌসুমী খাতুন বলেন, সিবিআই এসে সব তছনছ করে দিয়ে গেছে। ঘরের তালা ভেঙে দিয়েছে।


তল্লাশির নামে তছনছ করা হয়েছে ঘর ! CBI অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল কোচবিহারে


প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় ১৩ জুলাই হাইকোর্টে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তৈরি কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ে। রিপোর্টে মূল সুপারিশ ছিল, ঘৃণ্য অপরাধের তদন্তভার দেওয়া হোক সিবিআই-কে। বিচারপর্ব যেন বাংলার বাইরে হয়। অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে, উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের দিয়ে এসআইটি গঠন করে তদন্তের সুপারিশ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তৈরি কমিটি। সেই মামলায় হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে নির্দেশ দিয়েছে,  আদালতের নজরদারিতে- খুন, ধর্ষণ ও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই। ৬ সপ্তাহের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়।