পরিতোষ দাস, বীরভূম: শুধু রেলপথ বৃদ্ধি নয়, বাড়াতে হবে ট্রেনের সংখ্যাও। দাবি জানিয়ে এবার বীরভূমের লাভপুরে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর। লাভপুর স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজারের হাতে স্মারকলিপিও তুলে দেন তাঁর। তাতে সই রয়েছে এলাকার বিধায়ক, সাংসদ, রাজ্যের মন্ত্রী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব-সহ প্রায় তিন হাজার জনের।


কী নিয়ে বিক্ষোভ?  
আহমেদপুর-কাটোয়া লাইনে ট্রেন বৃদ্ধির দাবিতে এদিন বিক্ষোভ হয় লাভপুরে। ইতিহাস বলছে, ব্রিটিশ আমলে এই রেলপথের সূচনা। দীর্ঘ দিন ন্যারোগেজের ট্রেন চলত। ২০১৮ সালে এই লাইনকে ন্যারোগেজ থেকে ব্রডগেজে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু ওইটুকুই! সাধারণ মানুষের খেদ, লাইনে ট্রেন দেওয়া হয়েছে মাত্র একটা। সেটিও ঘড়ি ধরে চলে না। ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি ও  সময়মতো তা চালানোর দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু অভিযোগ ছবিটা বদলায়নি। আজ ফের একই দাবিতে তাই সুর চড়ালেন লাভপুরের মানুষজন। এদিনের বিক্ষোভে সামিল হন কলেজ পড়ুয়া থেকে অফিস যাত্রী,ব্যবসায়ী সকলেই। দাবি একটাই। অবিলম্বে এই রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হোক। এবার রেল-পরিষেবা যাতে ঘড়ির সময় মেনে চলে সেটিও নিশ্চিত করা হোক। 


পরিষেবায় ক্ষোভ...
কখনও ট্রেনের অপ্রতুল সংখ্যা, কখনও আবার সময়ে পরিষেবা না মেলা। রেলের বিরুদ্ধে যাত্রিবিক্ষোভের ঘটনা নতুন নয়। দূরপাল্লার ট্রেন হোক বা লোকাল ট্রেন, রেলের পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে কম-বেশি নানা জায়গায়। কোথাও আবার সব স্টপেজে ট্রেন না থামানোর অভিযোগেও অবরোধের মুখে পড়েছে রেল। যেমন গত বছরের আগস্ট। ব্যান্ডেল-কাটোয়া লাইনে ঘণ্টাতিনেক অবরোধ করেছিলেন যাত্রীরা। দাবি ছিল, ইসলামপাড়া হল্টে সব ট্রেন দাঁড় করাতে হবে। বাড়াতে হবে ট্রেনের সংখ্যাও। অবশেষে রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তোলেন তাঁরা।
লাভপুরের ক্ষেত্রে কী হবে?সেটা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।


আরও পড়ুন:রাত ৯টা পর্যন্ত কেন খোলা? সোনাচূড়া পঞ্চায়েত অফিস থেকে ফাইল পাচারের অভিযোগ বিজেপির