আবীর ইসলাম, ইলামবাজার: দেরিতে ফি জমা দেওয়ায় পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে বীরভূমের বোলপুর-ইলামবাজার সড়ক অবরোধ করলেন একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়ারা। পাশাপাশি, কলেজের ডিরেক্টরকেও ঘেরাও করে রাখেন তাঁরা। পড়ুয়াদের দাবি, কোভিড পরিস্থিতির জন্য পরীক্ষার ফি দিতে দেরি হয়েছে, তাই পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে। এই দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ।


ইলামবাজারের এই বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটির প্রায় ২০০ জন পড়ুয়াকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ৷ পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, দেরিতে ফি জমা দেওয়ার জন্য তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না। কলেজ কর্তৃপক্ষ বলার পর তাঁরা পরীক্ষার ফি জমা দিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগে আজ কলেজের ডিরেক্টরকে ঘেরাও করে রাখেন পড়ুয়ারা। এরপর কলেজের সামনে বোলপুর থেকে ইলামবাজার যাওয়ার রাস্তা অবরোধও করেন পড়ুয়ারা৷


পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়ার দাবিতে বিকাশ ভবনেও চিঠি দিয়ে আর্জি জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। তারপরেও তাঁদের পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ায় সকাল থেকে চলছে বিক্ষোভ। পড়ুয়ারা পথ অবরোধ করায় স্বাভাবিকভাবেই বহু গাড়ি সেখানে আটকে পড়ে। এর ফলে অনেক মানুষকেই সমস্যায় পড়তে হয়। পড়ুয়ারা অবশ্য নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের দাবি, যাঁদের পরীক্ষার ফি দিতে দেরি হয়েছে, সবাইকেই পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে।


আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা বলেছেন, ‘কোভিড অতিমারী পরিস্থিতির জন্য আমাদের সবারই পরীক্ষার ফি দিতে দেরি হয়েছে। তবে পরে আমরা সবাই পরীক্ষার ফি জমা দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু তারপরেও আমাদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে প্রায় ২০০ জন ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ নষ্ট হবে। আমরা চাই সবাইকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হোক। না হলে একটা বছর আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে।’


কলেজের ডিরেক্টর শুভাশিস বিশ্বাস বলেছেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারব না৷ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। তাঁরা এখনও কিছুই জানাননি। আমার কিছু বলার নেই।’