কলকাতা: স্কুল খোলা নিয়ে (School Reopen) কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের দ্বিতীয় জনস্বার্থ মামলা। "স্কুল খোলা নিয়ে পলিসি তৈরি করুক রাজ্য সরকার (West Bengal Government)।'' আবেদন জানিয়ে মামলা এআইএসএফ রাজ্য সভাপতি সৌমেন হালদার।
মামলাকারীর আবেদন, "স্কুল খোলা নিয়ে রাজ্য সরকার সুনির্দিষ্টভাবে একটা পরিকল্পনা করুক। কোভিড পরিস্থিতিতে কীভাবে স্কুল খোলা রাখা যায় তা নিয়ে একটা নীতি তৈরি করুক রাজ্য। আদালত অবিলম্বে নির্দেশ দিক এরাজ্যে স্কুল খোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ৫০ শতাংশ হোক বা অন্যান্য শর্তসাপেক্ষে হোক, অনেক কিছুই এই পরিস্থিতিতে খোলা রয়েছে।'' "সেখানে শুধুমাত্র স্কুল বা কলেজ এগুলো কেন বন্ধ থাকবে?'' প্রশ্ন মামলাকারীর। মামলাকারী আরও উল্লেখ করেছেন, “এতে সার্বিকভাবে পড়ুয়াদের ক্ষতি হচ্ছে। প্রায় দুবছর হতে চলল শিক্ষাব্যবস্থা মারাত্মক সঙ্কটজনক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। মাঝে কিছু খুললেও স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার যে সিদ্ধান্ত বারবার নেওয়া হয়েছে তাতে পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছে। সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পড়ুয়ারা। একইসঙ্গে বিনামূল্যে শিক্ষার সুবিধা অনলাইন ক্লাসের ইন্টারনেটের খরচের জন্য সেটাও পড়ুয়ারা পাচ্ছে না। এক্ষেত্রেও সরকারের নীতি তৈরির করা উচিত।’’
উল্লেথখ্য, ২০২০ সালে মার্চ মাসে করোনার ধাক্কায় প্রথমবার বন্ধ হয় স্কুল, কলেজ সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেই ত্রাস কাটিয়ে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে শর্তসাপেক্ষে স্কুল খোল এরাজ্যে। শুরু হয় কলেজের অফলাইন ক্লাসও। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই ফের বন্ধ হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা। বিধি মেনে গত বছর ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল-কলেজে ক্লাস শুরু হয়। শর্তসাপেক্ষে স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের। কিন্তু তা বেশি দিন স্থায়ী হল না। তৃতীয় ঢেউয়ের আবহে ৩ জানুয়ারি থেকে রাজ্যে ফের বন্ধ হল স্কুল-কলেজ।
রাজ্যে স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে চলতি সপ্তাহে আরেকটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “সংবিধানে সবার জন্য বিনামূল্যে শিক্ষার অধিকারের কথা বলা আছে। বর্তমানে অনলাইনে পড়াশোনার জন্য পড়ুয়াদের মধ্যে ডিজিটাল বিভাজন করা হচ্ছে। কারণ, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, হাই স্পিড ইন্টারনেট সবার কাছে থাকে না। এই ব্যয়ভার বহনের ক্ষমতাও প্রত্যেকের থাকে না। এই পদ্ধতিতে পড়াশোনা চালাতে হলে রাজ্যের সব ছাত্র-ছাত্রীদের ই-লার্নিং এর সমস্ত গ্যাজেটের খরচ রাজ্য সরকারকে বহন করতে হবে।’’
আরও পড়ুন: Sheikh Sufian Update: এখনই গ্রেফতারি নয়, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সাময়িক স্বস্তি শেখ সুফিয়ানের