শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: তুফানগঞ্জে (tufanganj) কলেজের মধ্যেই দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তুফানগঞ্জে মিছিল করল বিজেপি (bjp)। অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল (tmc), অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। বিজেপি শাসিত রাজ্যেই বেশি ধর্ষণ হয়, পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের। 


কলেজের মধ্যেই দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ। প্রতিবাদে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পর এবার পথে নামল গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার, অভিযুক্তর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তুফানগঞ্জ শহরে মিছিল করল বিজেপি। তাদের অভিযোগ অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। পাল্টা তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যেই বেশি ধর্ষণ হয়। 


কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে বলেন, ''এতবড় ঘটনা ঘটেছে, তৃণমূলের জমানায় কলেজের ভেতরেও ধর্ষণ হচ্ছে, এ কোন রাজ্যে আছি আমরা। এখানে মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। সেখানে তাঁর দলের ছেলে ধর্ষণ করছে, আর তৃণমূলের নেতারা তাঁকে সেফ গার্ড করার চেষ্টা করছে। প্রিন্সিপাল দায় এড়াতে পারে না।'' তৃণমূল নেতা আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, ''প্রতিবাদ তো আমরাও করেছি। আমরাও মিছিল করেছি। আমরাও দোষীদের শাস্তিচাই। আমরা প্রশাসনকে বলেছি, সেই করে থাকুক দোষীকে গ্রেফতার করতে হবে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে, যেখানে বিজেপির সরকার সেখানেই ধর্ষণ হচ্ছে।''


৩০ নভেম্বর, তুফানগঞ্জ কলেজের ঘরে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক প্রাক্তন ছাত্রের বিরুদ্ধে। ৩ ডিসেম্বর তুফানগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করে ছাত্রীর পরিবার। ৪ তারিখ অভিযুক্ত তাপস দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই ঘটনা ঘিরেই এখন রাজনৈতিক তরজা।


এদিকে, নদিয়া (nadia) হৃদয়পুরে বিজেপি (bjp) কর্মী খুনের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই (cbi)।  ধৃতকে ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কৃষ্ণনগর (krishnanagar) আদালত। গ্রেফতারি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে খুন ও ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগগুলির তদন্ত করছে সিবিআই (cbi)। আর এই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলাতেই আরও ১ জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এবার বিজেপি কর্মী খুনের অভিযোগে এক বিজেপি কর্মীকেই গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি।