কলকাতা: ‘বুড়ো খোকা’র পর ‘সাইডলাইনে বসে থাকা এক্সট্রা প্লেয়ার’। ফের একবার তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ। যার পাল্টা সৌগত রায়ও বলেছেন, ‘প্লেয়ার কিনতে বেরিয়েছেন’।


বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এদিন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদের উদ্দেশ্যে বিদ্রুপ করে বলেন, ‘মাস্টারমশাই যিনি খুব বড় বড় কথা বলছেন, তিনি খুব জোর ঝটকা খেয়েছেন। সাইড লাইনে বসে থাকেন এক্সট্রা প্লেয়ার হিসেবে। মাঠে নেমে সেমসাইড গোল খেয়ে গিয়েছে তৃণমূল। আর মনে হয় সেই ভুলটা তারা করবেন না।‘

নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব হওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদ ও তারপর মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগের পর থেকেই বরফ গলানোর চেষ্টা করছিলেন সৌগত রায়। ব্যক্তিগতভাবে নিজে কয়েকবার শুভেন্দুর সঙ্গে আলোচনায় বসার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তাঁকে বৈঠকেও বসিয়েছিলেন তিনি।

যে বৈঠকের পর প্রথমে তৃণমূল-শুভেন্দু দূরত্ব কমার ইঙ্গিত মিললেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বদলে গিয়েছিল পরিস্থিতি। দূরত্ব কমায় প্রথমে দূরত্ব বজায় রাখার ইঙ্গিত দিলেও ফের শুভেন্দুর ‘আপনাদের সঙ্গে কাজ করা মুশকিল’ বার্তার পরই ফের আগের মতো তাঁকে স্বাগত জানানোর কথা শুরু করেছে রাজ্য বিজেপি। যদিও শুভেন্দুবাবুর কী হল জানতে চাইলে দিলীপবাবু চেনা মেজাজে বলেন, ‘আমি কীভাবে বলব কী হয়েছে, জানতে ডাক্তার দেখাতে বলুন।’

এর মাঝেই যখন শুভেন্দুকে পাল্টা বার্তা দিয়েছেন সৌগত রায়। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনার পরই যে ইঙ্গিত পাঠিয়েছেন তিনি। ইঙ্গিত দিয়েছেন দূরত্ব কমাতে তাঁকে বাড়তি পদক্ষেপের, কেনই বা বৈঠকের মাঝে কোনও অস্বস্তির কথা না জানিয়ে পরে এভাবে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা, সে নিয়েও ঘুরিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে বলেই ইঙ্গিত। তাই শুভেন্দুকে নিয়ে চলতে থাকা অস্বস্তি পর্বের মাঝেই ফের একবার সরাসরি সৌগত রায়কেই আক্রমণ করলেন দিলীপ।

কিছুদিন আগেই তৃণমূলকে বুড়োদের দল বলার পাশাপাশি সৌগত রায় ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুড়ো খোকা বলেছিলেন দিলীপ। যার পাল্টা কল্যাণ দিলীপকে খোঁচা দিয়েছিলেন ‘দুধবাবু’ বলে। এবারে সৌগত রায়কে ফের ব্যক্তিগত কটাক্ষ করে দিলীপ প্রশ্ন ছুড়লেন তাঁর রাজনৈতিক কার্যকারিতা নিয়ে। দিলীপ ঘোষের যে বক্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন সাংসদ সৌগত রায়ও। ‘প্লেয়ার কিনতে বেরিয়েছেন’ বলে দিলীপকে নিশানা করেছেন তিনি।